অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪১ এএম
বিভিন্ন ফ্যাশনে প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ছবি : ইন্টারনেট
সদ্য প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে কার্যত সমার্থক হয়ে গিয়েছিল উজ্জ্বল রঙের টুপি। তার পোশাকে যেমন বিশেষত্ব ছিল, তেমনি ছিল দায়িত্বের সঙ্গে মানানসই। কিন্তু গত ৮ সেপ্টেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে অতীত হয়ে গেল রানির সেই ঐতিহ্য।
এদিকে পোশাকের দিক থেকে স্বাধীনতা ছিল না যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের সদস্যদের। অধিকাংশ সময়েই মেনে চলতে হয় কড়া পোশাকবিধি। রানি নিজেও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। কোনো লিখিত আইন না থাকলেও বছরের পর বছর ধরে চলে আসা ঐতিহ্যই হয়ে গিয়েছিল নিয়ম।
রানি তার দুর্দান্ত ড্রেসিং স্টাইলের কারণে লাইমলাইটে থাকতেন। গাঢ়-উজ্জ্বল রঙের পোশাক, টুপি, গ্লাভস, ব্লক হিল ও হ্যান্ডব্যাগ ছিল তার পরিচয়। অল্প বয়সে রানি সাদা গাউন পরতেন। পরে শেষ কয়েক দশক অধিকাংশ সময় তাকে পরতে দেখা গেছে উজ্জ্বল রঙের স্কার্ট। রাজপরিবারের নিয়ম অনুযায়ী সেই স্কার্টের দৈর্ঘ্য হতে হবে হাঁটু পর্যন্ত। এছাড়া স্কার্ট পরলেও পা যেন অনাবৃত না থাকে সেজন্য রাজপরিবারের যে কোনো নারী সদস্যেরই ‘টাইটস’ পরা বাধ্যতামূলক।
রানি এলিজাবেথের উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। এই কারণেই রানি সবসময় একটি টুপি পরতেন ভিড় থেকে আলাদা হয়ে দাঁড়াতে এবং তাকে বিশেষ দেখাতে। সাধারণত যে রঙের পোশাক পরতেন রানি, সেই রঙেরই টুপি পরতে দেখা যেত তাকে। সিংহাসনে বসার প্রথম দিকে, জনসমক্ষে এলেই টুপি পরা বাধ্যতামূলক ছিল। শেষ কয়েক দশক ধরে আর ব্যক্তিগত পরিসরে টুপি বা মুকুট পরতেন না রানি।
পোশাক পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে রংও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ধরনের রাজনৈতিক বার্তা বহন করে, এমন রঙের কোনো পোশাক পরা রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য একেবারে নিষিদ্ধ। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথও আজীবন মেনে চলেছেন এই নিয়ম।
এমনকি নেলপলিশের ক্ষেত্রেও মেনে চলতে হতো কড়া নিয়ম। মৃদু গোলাপি ছাড়া সাধারণত আর কোনো রঙের নেলপলিশ পরতেন না রানি। গয়নার ক্ষেত্রে রানি ব্রুচ ও মুক্তার নেকলেস পরতেন। কোনো দেশে রাষ্ট্রীয় সফরে সে দেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে জাতীয় প্রতীকসংবলিত তৈরি ব্রুচ পরতেন তিনি।
রানিকে বেশ কয়েকবার সুন্দর স্কার্ফ পরতেও দেখা গেছে। তার কাছে রঙিন স্কার্ফের ভালো সংগ্রহ ছিল। সপ্তাহান্তে তিনি প্রায়ই স্কার্ফ, রেইন কোট ও পায়ে বুট পরতেন। বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে ছাতাও ব্যবহার করতেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।