আমাদের ত্বকের
মতোই সংবেদনশীল চুল। তাই চুলের জন্য লাগাতার যত্ন ও
সুরক্ষা প্রয়োজন। অত্যধিক দূষণ, ধুলোবালি, স্বাস্থ্যকর
খাবার না খাওয়া- এমন কিছু কারণে
চুল পড়ার সমস্যা বর্তমানে ঘরে ঘরে। চুল পড়া রোধ করবে ভেবে বাজারচলতি কিছু
প্রসাধনীর ব্যবহার সমস্যা বাড়িয়েছে আরও। পূজা প্রায় চলে এসেছে। চুল পড়া রোধ করা
সহজ নয়, বা একদিনের বিষয়ও নয়। তবে
সহজ কয়েকটি টোটকা মেনে চললে পূজার আগেই মুক্তি পাবেন এ সমস্যা থেকে।
- ১০-১২টি নিমপাতা বেটে রস বের করে নিন। নিমপাতার
রসের সঙ্গে কাঠবাদাম তেল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার কিছুক্ষণ আগে চুলের গোড়ায় ও
মাথার ত্বকে তেলটি মালিশ করে নিন। নিমের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান নতুন চুল
গজাতে সাহায্য করে।
- নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রস উপকারী। মাথার
ত্বকের কোনো সংক্রমণ কমাতেও পেঁয়াজ দারুণ উপকারী। পেঁয়াজের রসে থাকা
অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান চুল ঘন করতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস তুলা দিয়ে
মাথার ত্বকে ও চুলের গোড়ায় লাগান। কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
- চুল আগে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। তারপর একটি
অ্যালোভেরার পাতা চিরে তার মধ্যকার শাঁসটা বের করে নিন। চুলের গায়ে তা লাগান,
স্কাল্পে চক্রাকারে হাত
ঘুরিয়ে মালিশ করুন। একদিন অন্তর করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়, এর ফলে চুল আর স্কাল্পের পিএইচ ব্যালান্সে সমতা
ফেরে, তাতে চুলের স্বাস্থ্য
ভালো থাকে।
- মেথি আর কালো জিরা রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর গুঁড়া
করে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটা কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এই তেল
কাচের বোতলে রাখবেন এবং ১০ থেকে ১২ দিন সহজেই রাখতে পারবেন। সপ্তাহে তিন দিন চুলে
লাগিয়ে মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- সারা রাত মেথি ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে বেটে
নিন। এটা সরাসরি চুলে লাগাতে পারেন প্যাকের মতো, দই-মধুর সঙ্গে মিশিয়েও লাগাতে পারেন। মিশ্রণ
শুকিয়ে গেলে মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।