অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৫৮ পিএম | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৪৮ পিএম
ইরানে চলমান বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত।
নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে চলা বিক্ষোভের ষষ্ঠ দিনেও উত্তাল ইরান। জাতিগত কুর্দি অধ্যুষিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রথমে প্রতিবাদ শুরু হলেও তা এখন দেশটির অন্তত ৫০টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। খবর-রয়টার্স।
কুর্দিদের মানবাধিকার সংস্থা হেনগাও গণমাধ্যমকে জানায়, অন্তত ১০ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ৩ জন নিহত হন। সংস্থাটির দাবি, এর আগে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আরো ৭ জন নিহত হয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
নিহতদের বিষয়ে ইরানের সংবাদ মাধ্যমগুলো বিস্তারিত কোনো তথ্য দিচ্ছে না। তবে তারা বলছে, ‘বিগত কয়েক দিনে বিক্ষোভকারী, পুলিশসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।’ বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে মাশা আমিনির নিজ এলাকা কুর্দিস্তানে।
ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মাশহাদ, কাজভিন এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজে আধাসামরিক বাহিনীর ৩ সদস্যকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সিরাজে নিরাপত্তা বাহিনীর আরো এক সদস্য নিহত হয়েছেন।
ইরানি কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর সাথে সরকারের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ইতোমধ্যে ১৫টি শহর থেকে হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
জানা যায়, যথাযথভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে মাহসা আমিনিকে (২২) আটক করে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ ‘গাশত-ই এরশাদ’। এরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে যান। পরে গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। মাহসা আমিনিকে পুলিশি হেফাজতে মারধর করে হত্যা করার অভিযোগ আনেন বিক্ষোভকারীরা।
মাহসা আমিনির মৃত্যুতে ইরানিদের মনে নানা বিষয় নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। যার মধ্যে আছে স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ। বিক্ষোভে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়। অনেকেই বিক্ষোভের সময় হিজাব ঝাঁকান। কেউ কেউ হিজাবে আগুন ধরিয়ে দেন। আবার কয়েকজন নারী জনসম্মুখে নিজের মাথার চুল কেটে ফেলেন।