মিয়ানমারে থামছেই না গুলি বর্ষণ, তুমব্রু সীমান্তে দুর্গোৎসব নিয়ে শঙ্কা

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:১৮ এএম

ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ছবি: সংগৃহীত

ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ছবি: সংগৃহীত

অন্যান্যবারের মতো এবারো দুর্গোৎসবের আয়োজনে মেতে থাকার কথা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত ঘেঁষা তুমব্রু বাজারের দুর্গা মন্দির। পূজা আয়োজনে প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও পরিবেশ বেশ থমথমে। কেনান সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে যে প্রতিনিয়ত চলছে গোলাগুলি। সেই গোলাগুলির আতঙ্কে স্থানীয়দের জনজীবন যেখানে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে সেখানে পূজার উৎসব পালিত হবে তা আন্দাজ করা কারো জন্যই কঠিন কোনো বিষয় নয়। 

সীমান্তের ওপারে বর্ষণরত গুলি-বারুদ কখন নিজেদের গায়ে লেগে যায় সেই আতঙ্কে দিন পাড় করছেন তমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশিরা।

এ অবস্থায় তুমব্রু বাজারের দুর্গা মন্দিরে পূজা উদযাপনের বিষয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে ১৬টি পরিবার এই মন্দিরে উপাসনা করে থাকেন। অন্যান্যদের মতো তারাও ওপারের গোলাগুলি আর মর্টারশেলের শব্দে তটস্থ থাকেন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (২২  সেপ্টেম্বর) মন্দিরের ভেতরে প্রস্তুতি সভাকালেও মিয়ানমার থেকে ভেসে আসে একের পর এক বিকট শব্দ।

উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতিতে এমনিতেই উদ্বেগে সীমান্ত এলাকার মানুষ। তাতে দুয়ারে কড়া নাড়লেও পূজা উদযাপনে দোলাচলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

তারা বলছেন, এরকম গোলাগুলির কারণে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছি না। প্রতিবছর তো আমরা আনন্দ করি এবার না হয় আনন্দ কম করবো, তবুও চাই পূজাটা হোক। 

এমন পরিস্থিতিতে নির্বিঘ্নে পূজা করতে হলে উখিয়ার বালুখালিতে মণ্ডপ করার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, তাদের পূজা করতে তেমন কোন সমস্যা হবার কথা না। তবে কোন ধরনের সমস্যা যদি তারা মনে করে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিরাপত্তায় থাকবে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh