কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৩০ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৩২ পিএম
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এক আলোচনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে অংশ নিতে গিয়ে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গাদের দুর্দশাদের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিতের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। এসময় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের দৈনন্দিন অগ্নিপরীক্ষার কথা বলতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।
স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) লোটে প্যালেস নিউইয়র্ক হোটেলে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংসতা, নির্বিচারে হত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণের বর্ণনা দেওয়া হয়। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি ভিডিও দেখানো হয়। ওই ভিডিও চিত্র দেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। আবেগাপ্লুত হয়ে এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এক টুইট বার্তায় জানানো হয়,‘বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রতিদিন যে কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয় সে সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চোখের পানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।’
বৈঠকে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকার্যের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে সমর্থন করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অস্থায়ীভাবে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব অর্থে ৩৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে ভাসান চর নামে একটি দ্বীপে বাসযোগ্য করে তোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত, প্রায় ৩১ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান আমাদের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষার জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার ও ভাসানচর দ্বীপে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।