স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:০৯ পিএম
সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী দলের তিন সদস্য: ফাইল ছবি
সাবিনা, সানজিদা, কৃষ্ণা, স্বপ্নারা এখন দেশের বড় তারকা। গণমাধ্যম থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-সবখানে তাদের খবর, তাদের কথা জানতে দেশের মানুষের কৌতুহল। কিন্তু সুযোগ সন্ধানী প্রতারকচক্র এই সুযোগটাই কাজে লাড়িয়ে চালিয়ে যাচ্ছে প্রতারণার চেষ্টা! সাফ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের নামে ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা করছে প্রতারকচক্র।
চ্যাম্পিয়ন দলের ফুটবলারদের বেশিরভাগেরই নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলের সঙ্গে একটি করে পেজও আছে। অনেকের পেজ ইতোমধ্যে ভেরিফায়েড হয়েছে। তবু ফেক বা নকল অ্যাকাউন্টের বিড়ম্বনা তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। নকল অ্যাকাউন্টের এই প্রতারণা থেকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন নারী ফুটবলাররা।
নারী দলের স্ট্রাইকার শামসুন্নাহার জুনিয়র বলেন, ‘আমার নামে দুই-তিনটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এমনকি আমার নামে অ্যাকাউন্ট খুলে আমাকেই রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়েছে!’ নারী দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন, ‘ফেক অ্যাকাউন্ট, ফেক পেজ-আমি একেবারেই বিরক্ত। আমি আপাতত ফেসবুক থেকে দূরে রয়েছি।’
ডিফেন্ডার নীলুফার ইয়াসমিন বলেন, ‘ফেক আইডি ব্যবহার করে অন্যের কাছে টাকা চাওয়া বা কোন রকম ব্ল্যাকমেইল করা, হ্যাকিং করা এগুলো আসলে ঠিক না।’
ছবি ব্যবহার করে শুধু অ্যাকাউন্ট পরিচালনা নয় এসব নকল অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা চাওয়া, কিংবা বিব্রতকর পরিস্থিতিও তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশের ডিফেন্ডার শামসুন্নাহার সিনিয়র বলেন, ‘আমাকে অনেকেই নক দিয়ে জিজ্ঞাসা করে এই আইডিটা কি তোমার? এ রকম তো কথা বলতেছে তুমি হিসেবে। পরে আমি জানিয়ে দেই যে এই আইডি আমার না। আমার দুইটা অ্যাকাউন্ট, একটা পেজ আরেকটা মূল অ্যাকাউন্ট।’
মিডফিল্ডার সানজিদা আক্তার বলেন, ‘আমার নামে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। অনেকের কাছে টাকা চেয়েছে যে ভাইয়া আমাকে আজকে ৫০০ টাকা দেন বা আমাকে আজকে ১০০০ টাকা দেন। আমি তো একটু ব্যস্ত আছি। আমার ফোনে রিচার্জ করে দেন, আমি পরে আপনাকে দিয়ে দেব।’
গোলরক্ষক রুপনা চাকমা বলেন, ‘আমার নামে পেজ খোলা হয়েছে, ফেক আইডি খোলা হয়েছে। এটা নিয়ে আমি সমস্যায় পড়েছি।’
ক্যাম্পে থাকার সময় শুধু শুক্রবার মোবাইল ব্যবহার করার সুযোগ মেলে নারী ফুটবলারদের। তখনই তারা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন। যেকোনো প্রয়োজনে ফেডারেশন কিংবা পরিবার তাদের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। কাজেই কারও কাছে টাকা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। দেশবাসীকে তাই এসব প্রতারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।