নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৩৩ পিএম | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৪৬ পিএম
ছবি- সংগৃহীত
রেমিট্যান্সে ডলারের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ মূল্য হবে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা। আগে যা ছিল ১০৮ টাকা।
তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে ডলারের দর অপরিবর্তিত আছে। আগের মতোই তা ৯৯ টাকা বহাল রাখা হয়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো আয়ে ডলারের এই নতুন দাম ১ অক্টোবর কার্যকর হবে। ইতোমধ্যে সব ব্যাংকে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক বৈঠকে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এ সিদ্ধান্ত নেয়।
সবমিলিয়ে দুই সপ্তাহ পর বৈঠক করল সংগঠন দুটি। সেখানে আমদানির ক্ষেত্রেও ডলারের দরে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
এদিন সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বাফেদা চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমিডি) আফজাল করিম।
তিনি বলেন, এখন ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমেছে। তাই নতুন দর নির্ধারণ করা হলো। ১ অক্টোবর তা কার্যকর হবে। যেসব ব্যাংক ডলার কিনে রেখেছে, এসময়ের মধ্যে দর সমন্বয় করবে তারা।
আমদানিতে রেমিট্যান্স আহরণ এবং রপ্তানি বিল নগদায়নে গড় খরচের সাথে ১ টাকা যোগ করে আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রি করবে ব্যাংকগুলো। এর মানে স্প্রেড সীমা হবে ১ টাকা।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এটিই হবে আন্তঃব্যাংক ডলার বিনিময় হার। এতে আমদানিকারকের খরচ কমবে।
এসময় এবিবি চেয়ারম্যান ও ব্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেনসহ দুই সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর অস্থির ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে এবিবি ও বাফেদা বৈঠক করে। তাতে আন্তর্জাতিক প্রধান মুদ্রার একক রেট ধার্য করে তারা। এক্ষেত্রে রপ্তানি আয়ে ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ দাম ৯৯ টাকা এবং রেমিট্যান্সে ১০৮ টাকা বেঁধে দেয়া হয়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশে দেশে মুদ্রার দরপতন হয়। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। ৭ মাসে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান কমেছে ২৫ শতাংশের বেশি। এ যুদ্ধ শুরুর আগে ডলারপ্রতি দর ছিল ৮৫ টাকা।