জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সবার কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৪৫ এএম | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৪৬ এএম

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ফাইল ছবি

জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, কুসংস্কার দূর করা ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। এ বছর বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসের প্রতিপাদ্য ‘জলাতঙ্ক : মৃত্যু আর নয়, সবার সাথে সমন্বয়’।

সার্বজনীন ও আধুনিক মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২২’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জলাতঙ্ক একটি প্রাণীবাহিত রোগ। এ রোগে আক্রান্ত পশু বিশেষ করে শেয়াল, কুকুর, বাদুড় ইত্যাদির কামড়ে মানুষের মধ্যে জলাতঙ্ক সংক্রমিত হয়। যথাসময়ে চিকিৎসা দেওয়া না হলে জলাতঙ্ক প্রাণঘাতী হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে বর্তমানে প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ এ রোগে মারা যান। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে জলাতঙ্ক শতভাগ নিরাময় করা সম্ভব।

আবদুল হামিদ বলেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সরকার জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন বিনামূল্যে সরবরাহ করছে। সাধারণ জনগণের মধ্যে জলাতঙ্কের হার আগের তুলনায় শতকরা ৬৮ ভাগ কমে এসেছে। তবে অসচেতনতা, ভৌগোলিক অবস্থান, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য দেশে জলাতঙ্কের ঝুঁকি এখনো রয়েছে। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি, কুসংস্কার দূর করা ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি। একইসাথে পোষা ও বেওয়ারিশ কুকুর-বিড়ালকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দেওয়াও জরুরি। সবার সম্মিলিত প্রয়াস জলাতঙ্ক নির্মূলে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২২’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

সূত্র: বাসস

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh