টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৯ পিএম
বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে লাঠি ও ঝাড়ু হাতে নিয়ে মানববন্ধন। ছবি: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর পূর্ব তীর রক্ষা বাঁধের কাছ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে লাঠি ও ঝাড়ু হাতে নিয়ে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের বলরামপুর এলাকার যমুনা নদীর পূর্ব তীরে মানববন্ধন করা হয়। পরে বিক্ষোভ করে বালু উত্তোলন বন্ধে কয়েক হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ তারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে সমবেত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- শরিফ উল্লাহ শরিফ, মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, হায়দার আলী, তোজাম্মেল হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও রাজু মিয়া প্রমুখ।
বক্তাদের অভিযোগ, ফলদা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদু ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইকো মিয়ার নেতৃত্বে এলাকার কিছু প্রভাবশালী নেতাদের যোগসাজশে সরকারি বালু মহলের নাম করে দীর্ঘদিন যাবত ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে নলিন থেকে রায়ের বাশালিয়া গ্রাম রক্ষা বাঁধ ও তার অদূরে ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। অবৈধ বালু উত্তোলন কাজে কেউ বাঁধা দিলে তাদের নানাভাবে হয়রানিসহ হুমকিও দেয়া হয়।
বক্তারা আরো বলেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তীর রক্ষা বাঁধের কাছ থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে আগামী বন্যা মৌসুমে হুমকির মুখে পড়বে ৪টি গ্রামের ২টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫টি মসজিদ, ৩টি কবরস্থান, ১টি মাদ্রাসা, ১টি মন্দির এবং ১টি গুচ্ছ গ্রাম। প্রশাসনকে বার বার বললেও তারা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
মানববন্ধনে কয়েক গ্রামের সহস্রাধিক ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন, স্কুল-মাদ্রাসা রক্ষায় শিক্ষার্থীরাও মানববন্ধনে অংশ নেন।
ফলদা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদু বলেন, ইজারাকৃত বালু মহল থেকে আমরা বালু উত্তোলন করেছি এবং পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ড্রেজারগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একটি মহল ষড়যন্ত্র করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সব সময় নজরদারি রয়েছে। ফসলি জমি কেটে বালু বিক্রির বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ঠিকাদাররা নির্ধারিত পয়েন্ট ছাড়া যদি অন্য কোনো স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে তাদের ইজারা শর্ত ভঙ্গ হবে বলেও জানান তিনি।