বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে শেষ মুহূর্তে সাগরে মাছ শিকারে মরিয়া পটুয়াখালীর জেলেরা। ঝুঁকি জেনেও সাগরে ট্রলার নিয়ে যাচ্ছেন। মহিপুর ও আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ নিয়ে ফিরছেন।
লঘুচাপ কাটেনি। উত্তাল বঙ্গোপসাগর। তারপরও উপকূলের হাজার হাজার জেলে মাছ শিকারে নেমে পড়েছেন।
আর মাত্র দুদিন পরই মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। বন্ধ থাকবে সব ধরনের মাছ শিকার। তাই ঝুঁকি নিয়েই শেষ মুহূর্তে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে নেমে পড়েছেন।
এ বিষয়ে এক জেলে বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও আমরা মাছ ধরছি। মৌসুমের শেষের দিকে ঝুঁকি নিয়ে বন্যার মধ্যেও জেলেরা জাল নিয়ে সাগরে গেছেন। সরকার যদি আর দু-এক দিন বাড়িয়ে দিত, তাহলে আমরা এ মৌসুমের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারতাম।’
তবে সাগরে জাল ফেলতেই ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ছে। মাছ শিকার করে ইলিশভর্তি ট্রলার নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন অনেক জেলে।
আরেক জেলে বলেন, সরকার যদি আর ১০ দিন পর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করত, ‘তাহলে আমরা মাছ ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য করে লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারতাম। বর্তমানে যে হারে মাছ ধরা পড়ছে, এতে সামনের দিনগুলোয় ভালো পরিমাণে মাছ ধরা পড়বে।’
জেলায় নিবন্ধিত ৭৯ হাজার জন জেলে রয়েছে। এর বাইরে অর্ধলক্ষাধিক জেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন।
উল্লেখ্য, ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত নদী ও সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।