অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২২, ০২:০৬ পিএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২২, ০২:০৭ পিএম
ঘৃতকুমারী। ছবি: সংগৃহীত
ঘৃতকুমারী বহু-জীবী ভেষজ উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদ দেখতে অনেকটাই কাঁটাওয়ালা ফণীমনসা বা ক্যাকটাসের মতো। এটি এ্যালোভেরা নামে বেশি পরিচিত। ঘৃতকুমারীতে রয়েছে ২০ রকমের খনিজ পদার্থ।
মানবদেহের জন্য যে ২২টা অ্যামিনো অ্যাসিড প্রয়োজন এতে সেগুলো বিদ্যমান। এছাড়াও ভিটামিন A, B1, B2, B6, B12, C এবং E রয়েছে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ঘৃতকুমারীর ব্যবহার অনেক উপকারী।
ঘৃতকুমারীর বিভিন্ন উপকারিতা:
১. হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এ্যালোভেরার জুস। ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
২.এ্যালোভেরা মাংসপেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা কমে যায়।
৩. এ্যালোভেরার জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। দাঁতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে দেয়। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয়রোধ করা সম্ভব।
৪. ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই কম-বেশি জানি। অ্যালোভেরার অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
৫. অ্যালোভেরা হলো অ্যান্টি ম্যাইকোবিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান-সমৃদ্ধ একটি গাছ। অ্যালোভেরা জুস নিয়মিত পান করলে রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের টক্সিন উপাদান দূর করে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৬. গবেষণায় দেখা গেছে যে, এ্যালোভেরা রয়েছে অ্যালো ইমোডিন, যা স্তন ক্যান্সার বিস্তারকে রোধ করে। এছাড়াও অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধে অ্যালোভেরা অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।