‘মাংস আর কিনে খাওয়া সম্ভব না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২২, ১২:২৩ পিএম

পাকিস্তানি লাল মুরগি। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানি লাল মুরগি। ছবি: সংগৃহীত

দুইদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। দুদিন আগে ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে, সেখানে আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বাজারে এই মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। আর গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। 

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে,  গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, কলিজাও মাংসের দামেই বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ৯৮০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ টাকা। লেয়ার মুরগি (লাল) বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা করে।

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে মাংসের যে দাম, সবার পক্ষে মাংস আর কিনে খাওয়া সম্ভব না। আমরা তো চাকরি করি, মাংস কিনতে গিয়ে আমাদেরই টানাপোড়েনে পড়তে হয়, যাদের আয় আরো কম তাদের জন্য পরিস্থিতি আরো কঠিন।

বিক্রেতারা বলছেন, আমাদের যদি বেশি দামে কিনতে হয়, কম দামে বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই।

ডিআইটি প্রজেক্টের মাংস বিক্রেতা মো. মনির হোসেন বলেন, বর্তমানে মাংসের বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। ৭০০ টাকার নিচে কোথাও গরুর মাংস নেই। দাম বাড়ায় আমাদের বেচাকেনাও খারাপ। 

গত সপ্তাহেও ৬৮০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর পেছনে আমাদের কোনো হাত নেই। দাম বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, গরুর খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে, যে কারণে কৃষকরাও গরুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর বেশি দামে কিনে এনে আমাদেরও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

মুরগির মাংসের দাম প্রসঙ্গে বিক্রেতা মো. ওয়াসিম বলেন, ব্রয়লার বিক্রি করছি ১৮০ টাকা কেজি, কারণ আমাদের পাইকারি কিনেই আনতে হয়েছে ১৬৬/১৬৮ টাকা কেজি দরে। এরসাথে যোগ হয় পরিবহন খরচ। এমনকি আনতে গিয়ে সব সময় ২/৪ টা মুরগি মরে যায়। সবমিলিয়ে একটু বেশি দামেই আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh