অন্তঃসত্ত্বার পেটে ভাসুরের লাথি, ৩ মৃত সন্তান প্রসব

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২২, ০১:১৩ পিএম

রামু থানা। ফাইল ছবি

রামু থানা। ফাইল ছবি

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় ভাসুরের কিল-ঘুষি, লাথিতে গুরুতর আহত হন প্রবাসী ছোট ভাইয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ৩ নবজাতক প্রসবের ঘটনা ঘটে।

ঘটনাটি ঘটেছে ঈদগড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রেনুর কুল এলাকায়। এ ঘটনায় জড়িত ভাসুর আবু তাহের পলাতক রয়েছেন।

নির্যাতনকারী ভাসুর আবু তাহের ওই এলাকার আব্বাস মোহাম্মদের ছেলে। নির্যাতনের শিকার নারী আবু তাহেরের ছোট ভাই প্রবাসী ছৈয়দ আলমের স্ত্রী এবং ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নাজির হোসনের কন্যা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভিকটিম রাবিয়া বাসরী জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর শাশুড়ির সঙ্গে তার তর্কাতর্কি হয়, কিছুক্ষণ পর ভাসুর আবু তাহের এসে তাকে উপর্যুপরি লাথি, ঘুষি-কিল মেরে আহত করে। ওই সময় তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রামু থানায় অভিযোগ দায়ের করলে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই জাফরুল্লাহ উভয় পক্ষকে ডেকে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার কামাল উদ্দিনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিসের মাধ্যমে পারিবারিক ঘটনা হওয়ায় দুই পক্ষকে সামাজিকভাবে বসবাসের কথা বলে সুরাহা করে দেন।

এরই মধ্যে রাবিয়া বাসরী প্রসব বেদনা ও ব্যথা অনুভব করলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বজনদের সহযোগিতায় ঈদগাঁওস্থ বেসরকারি ক্লিনিক ঈদগাঁও ডায়াবেটিস কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত তিন নবজাতক প্রসব করে।

ঈদগাঁও ডায়াবেটিস কেয়ার সেন্টারের পরিচালক ডা. ইউছুপ আলী জানান, ভিকটিমের প্রসব বেদনা উঠলে হাসপাতালে আসে, পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ৩ নবজাতক নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বের করা হয়। নবজাতকের শরীরে আঘাতজনিত চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। ভিকটিম রাবিয়া বাসরীর পরিবার আইনগত ব্যবস্থা নিলে থানা অথবা আদালত যদি রিপোর্ট চাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট পাঠাবে।

এদিকে একই সাথে ৩ মৃত নবজাতকের প্রসব হওয়ার ঘটনায় পুরো হাসপাতালে অপরাপর রোগী ও স্বজনদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

বিদেশে অবস্থানরত স্বামীর পরামর্শক্রমে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান রাবিয়া বাসরী।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত আবু তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগ চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে তিনি এখনো জানেন না। অভিযোগও পাননি। ভিকটিম আইনগতভাবে সহযোগিতা চাইলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh