নীলফামারীতে ছড়িয়ে পড়েছে চোখ ওঠা রোগ

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২২, ০৩:১১ পিএম | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২২, ০৪:২৩ পিএম

এ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে চোখের ড্রপ দেওয়া হচ্ছে। প্রতীকী ছবি

এ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে চোখের ড্রপ দেওয়া হচ্ছে। প্রতীকী ছবি

নীলফামারীতে চোখ ওঠা রোগ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আবহাওয়া জনিত কারণে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয় মানুষ। 

নীলফামারীতে বেশ কিছুদিন ধরে সব বয়সী মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মেডিকেল গুলোতে চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা নিতে আসা চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা বেশি। তাছাড়া গ্রামাঞ্চলের শিশুদের মাঝেই এ রোগটি বেশি ছড়াচ্ছে। পরিবারে একজনের সংক্রমণ দেখা দিলে সেই পরিবারের সবাই আক্রান্ত হচ্ছে। 

এ বিষয়ে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসের মাধ্যমে এ রোগ ব্যাপক আকারে ছড়াচ্ছে। এ রোগে চোখে ব্যথা অনুভব হয়, চোখ জ্বালা পড়া করে, চোখ দিয়ে পানি পরে, চোখ চুলকাতে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। 

ওষুধ ছাড়াই কারো কারো আবার এ রোগ সেরে যায়। তিন হতে সাত দিনে সেরে যায় এ রোগ। এক সপ্তাহের মধ্যে যদি এ রোগ না সারে তাহলে বিলম্ব না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। 

বর্তমানে মেডিকেলে আসা রোগীকে প্রতিষেধক হিসেবে চোখের ড্রপ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তিকে কালো চশমা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। 

অন্যদিকে প্রতিষেধক ওষুধের সাপ্লাই নেই এ কথা বলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সময় ও সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওষুধের দ্বিগুণ দাম নিচ্ছে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh