পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৪০ পিএম
সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে আটককৃতরা। ছবি: পিরোজপুর প্রতিনিধি
সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে নারীসহ সাতজনকে আটক করেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় থানা পুলিশ। এতিমখানায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করার সময় তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি নোয়া গাড়ি, ক্যামেরা, পাঁচটি মোবাইল ফোন, চার্জার, বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার একাধিক ভুয়া আইডি কার্ড জব্দ করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- সোনাপুর এলাকার মো. আহছান উল্লাহর ছেলে মো. রাকিবুল হায়দার ওরফে জিসান চৌধুরী, ফরিদপুরের সদর উপজেলার মো. আরাফাত হোসেন ওরফে শুভ, মো. রেজাউল করিম খান, মো. শামীম হোসেন, গাড়ি চালক মো. আতাউর রহমান, মো. জিসান, জীবনী ও সোমা আক্তার। তারা গাজীপুর বাসন থানা, নোয়াখালী, ফরিদপুর, জামালপুর ও শেরপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইউসুবেরবাগ মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনেক দুর্নীতি চলছে- এমন অভিযোগ করে বুধবার বিকেলে সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে অডিট করার নামে ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয় মাদ্রাসার মুহতামিমের কাছে। তারা ‘অডিট করার বিল’ বাবদ নগদ ৩ হাজার টাকা নেয়। আরো ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন, যা দুই দিনের মধ্যে বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলা হয়।
একই কায়দায় উপজেলার পৌরসভার বাকাইল এতিমখানায় প্রবেশ করে মুহতামিম হাফেজ মো. ইদ্রিস আলীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে টাকা হাতানোর চেষ্টা করে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকদের জানালে তাদের কাছে থাকা আইডি কার্ড যাচাই করে জানা যায় তারা অবৈধ অর্থ লাভের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গায় এসে বিভিন্ন মাদ্রাসায় প্রতারণা করে টাকা দাবি করছে। পরে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা পুলিশকে সংবাদ দিয়ে রাতে থানায় সোপর্দ করে। রাতে ইউসুবেরবাগ গোরস্থান মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা মো. শরিফুদ্দিন মোল্যা বাদী হয়ে নারীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।