সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্ত

দূষণের দায়ে বন্ধ হচ্ছে ১৯ ট্যানারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৫৪ পিএম

সাভারের একটি ট্যানারিতে কাজ করছেন শ্রমিকরা। ছবি: সংগৃহীত

সাভারের একটি ট্যানারিতে কাজ করছেন শ্রমিকরা। ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকা এবং দূষণের দায়ে ঢাকার সাভারের চামড়াশিল্প নগরীর ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে সরকার।আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য ও মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, তানভীর শাকিল জয়, জাফর আলম এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার।

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯ প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আরো পৃথক ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে আদালতের শর্ত মেনে ছাড়পত্র নবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত শর্ত অর্জনের শর্তে অস্থায়ী ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া এই ১৯ প্রতিষ্ঠান কখনোই পরিবেশগত ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেনি।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- মেসার্স নিশাত ট্যানারি, ইব্রাহীম ট্যানারি, মেসার্স সিটি লেদার, মেসার্স সবুজ করপোরেশন, মেসার্স এম এ লেদার, মেসার্স মেট্রো ট্যানারি, মেসার্স মুন ট্যানারি, মেসার্স লিয়েন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ইন্টারন্যাশনাল ট্যানারি, মমতাজ ট্যানারি, জিন্দাবাদ ট্যানারি, মেসার্স গোল্ডেন লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ, জামান ট্যানারি, মেসার্স সাহী ট্যানারি, ফালু লেদার করপোরেশন, হাইটেক লেদার, ইসমাইল লেদার, এসঅ্যান্ডএস ট্যানারি ও মেসার্স জহির ট্যানারি।

এছাড়া আদালতের দেওয়া শর্ত পূরণসহ কমপ্লায়েন্স অর্জন করেছে এমন ১৯টি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র নবায়ন এবং ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য ছাড়পত্র প্রদানের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

কমিটির আগের বৈঠকে যেসব প্রতিষ্ঠান ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেনি এবং আইনকে তোয়াক্কা করছে না এমন প্রতিষ্ঠানের গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করে। প্রয়োজনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এদিকে দেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের বিষয়ে উদ্বেগ এবং বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

এ ছাড়া বন্যপ্রাণী পাচার রোধে ট্রানজিট ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে কমিটির পক্ষ থেকে প্রচলিত আইনের আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা জোরদারের প্রতি সতর্ক থাকার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- কপবাজারে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, সেন্টমার্টিনে নিয়মবহির্ভূতভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ধরনের হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ইত্যাদি পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানকে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য নোটিশ দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh