মৃদুল মাহবুবের বুক সাইনিং ইভেন্ট অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২২, ১১:৪২ পিএম | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৪০ এএম

বক্তব্য রাখছেন লেখক মৃদুল মাহবুব। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

বক্তব্য রাখছেন লেখক মৃদুল মাহবুব। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বৈভব-এর আয়োজনে কবি, গদ্যকার ও সমালোচক মৃদুল মাহবুবের বুক সাইনিং ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলতাফ শাহনেওয়াজের সঞ্চালনায় এই আয়োজনে বই নিয়ে আলোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, কবি জহির হাসান, মনোবিজ্ঞানী শমী সুহৃদ।

প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বৈভব আয়োজিত বুক সাইনিং ইভেন্টে মৃদুল মাহবুবের তিনটি গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে অনুবাদ গ্রন্থ ‘সুখ ও অন্যান্য ছোটো অতি প্রয়োজনীয় বিষয়’। বইটির মূল লেখক তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত, মনোবিজ্ঞান, দর্শন ও সাহিত্যের শিক্ষক হাইম শাপিরা। 

বইটি নিয়ে আলোচনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং মনোবিজ্ঞানী শমী সুহৃদ বলেন, সুখকে গন্তব্য হিসেবে না দেখে জীবনের ভ্রমণ হিসেবে দেখা। বাজারে অনেক সেলফ হেল্প বই দেখতে পাওয়া যায়; কিন্তু সেই বই পড়ে সেলফ হেল্প হয় না। কারণ সবার অনুভূতি এক না। সুখের ধারণা অনুভূতির প্রতি কতটা সহানুভূতিশীল লেখক তা-ই বুঝাতে চেয়েছেন। 

“সকলের সুখের অনুভূতি এক না হলেও দুনিয়ার মানুষের বিরাট একটা অংশ ‘পাওয়া’কে সুখ বলে মনে করে থাকেন।” অর্থাৎ সুখ আসলে কী, তা নিয়ে হয়তো বিস্তারিত আলোচনা আছে বইটিতে; কিন্তু হাইম শাপিরার এই বইয়ের বিষয়বস্তু শুধু সুখ নয় ক্রিয়েটিভিটি ও কৌশলগত চিন্তা পদ্ধতি, অস্তিত্ববাদী দর্শন, শিল্প সাহিত্য দর্শন, আশাবাদ, যুক্তিহীনতা ও পাগলামি, কল্পনা ও অর্থের অর্থ, বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা ইত্যাদি। বইটিতে লেখক শিশুদের স্কুলিংয়ের সমালোচনা করেছেন।

বক্তব্য রাখছেন লেখক মৃদুল মাহবুব। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক ব্যবহারিক চিন্তা নিয়ে মৃদুল মাহবুবের বই ‘কবিতাকলা ভবন’। বইটি নিয়ে আলোচনা করেন কবি জহির হাসান।

আমরা যা দেখি, যা কিছু অনুভব করি তার পরিবর্তন ঘটায় শিল্প। শিল্প একটা ব্যবহারিক বিষয়, যা দুনিয়াকে আরো অর্থবহ করে তোলে। জগতকে নতুনভাবে দেখার প্রেরণা শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থটি। 

মৃদুল মাহবুবের পরবর্তী আরেকটি বই ‘মানুষ একাকী এক মিথ’ নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। বইটি সম্পর্কে আলোচনায় যে বিষয়টি এসেছে তা হচ্ছে ‘মানুষ’।

লেখকের ভাবনায় শুধু নির্দিষ্ট সীমানার মানুষকে দেখেননি। তার লেখনীতে সারা পৃথিবীর মানুষের কথা উঠে এসেছে। মৃদুল মাহবুব কোনো নির্দিষ্ট ছকে নিজেকে বেঁধে রাখেননি। 

পরে উপস্থিত অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণে আড্ডার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh