প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০২:০৪ পিএম | আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০৩:২০ পিএম
নসরুল হামিদ বিপু। ফাইল ছবি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনে ব্যাঘাত ঘটার কারণে ৮০ লাখ গ্রাহক বর্তমানে বিদ্যুৎ সেবার বাইরে রয়েছে। আগামীকাল বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, শতভাগ গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
এদিকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে সিত্রাংয়ে ৯ জেলায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর অন্তত দুই শতাধিক স্থানে গাছ ভেঙে সড়কে পড়েছে। এতে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে কত গ্রাহক এখন বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন- এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রায় ৪ কোটি ৮০ লাখের মতো গ্রাহক। এখন প্রায় ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন আছে। আরইবি (পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড)-এর ৮০০-এর বেশি পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পিডিবিসহ সব মিলিয়ে প্রায় দেড়-দুই হাজার পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আশা করছি আজ বিকেলের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে পারবো।
তিনি বলেন, ট্রান্সমিশনের আমাদের খুব বড় রকমের আঘাত হয়নি। বড় ধরনের আঘাত হয়েছে ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে। সেখানে তার ছিঁড়ে গেছে। গাছ উপড়ে গিয়ে লাইনের ক্ষতি করেছে। অনেক জায়গায় পোল (বিদ্যুতের খুঁটি) পড়ে গেছে, ভেঙে গেছে। প্রচুর জায়গায় সমস্যা দেখা গেছে। তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে সে এলাকায় আমরা বিদ্যুৎ সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছি। এক্সিডেন্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সম্পূর্ণভাবে ঠিক না করা পর্যন্ত আমরা বিদ্যুৎ চালু করবো না।
তিনি আরো বলেন, আমরা আগামীকাল দুপুরের মধ্যে শতভাগ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবো বলে আশা করছি। আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন, বিশেষ করে আরএডি ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকেই সজাগ ছিল। এখন ২৪ ঘণ্টা তারা কাজে নিয়োজিত আছেন, বিশেষ করে আরএডি এবং পিডিবি।
ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত শুরু করে সিত্রাংয়ের অগ্রবর্তী অংশ। আর রাত ১০টা নাগাদ ঝড়টির কেন্দ্র উপকূল পেরিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে। পরে সিলেট ও কুমিল্লা হয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করে।