কুষ্টিয়ায় চাচাকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ভাতিজার যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০৫:১২ পিএম

চাচাকে হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ছবি: কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

চাচাকে হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ছবি: কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে চাচা আসাদুল হক কবিরাজকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ভাতিজা জাহিদুল হক কবিরাজকে (২০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ২০ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর কঠোর পাহারায় অভিযুক্ত জাহিদুলকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার অপর চারকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল হক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের মুরাদ কবিরাজের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বাড়ির সীমানা এবং বৃষ্টির পানি যাওয়ার জায়গাকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের আসাদুল কবিরাজের সাথে তার ভাই মুরাদ কবিরাজের বিরোধ চলে আসছিলো। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই দুপুরে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন নিয়ে আসাদুলের স্ত্রী নাজমার সাথে মুরাদ কবিরাজের স্ত্রী জাহিমা খাতুনের ঝগড়া শুরু হয়। আসাদুল এসে বিষটি নিয়ে জাহিমাকে ঝামেলা করতে নিষেধ করলে জাহিমা তার ছেলে জাহিদুল এবং স্বামী মুরাদকে ডেকে আনে। এসময় জাহিদুল ও মুরাদ আসাদুলকে ইট এবং বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর  আহত করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুই দিন পর আসাদুল মারা যান। এই ঘটনায় আসাদুলের স্ত্রী নাজমা খাতুন বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই মুরাদ কবিরাজ তার ছেলে জাহিদুল কবিরাজসহ পাঁচজনকে আসামিকে করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন কুষ্টিয়ার সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুজিত কুমার কর। এই মামলার ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।

কুষ্টিয়া জেলারও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh