বিশ্ববাজারে কমলেও, দেশে বাড়লো বিমানের জ্বালানির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ০৫:১৭ পিএম

অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী ইউএস-বাংলার বিমান। ছবি: সংগৃহীত

অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী ইউএস-বাংলার বিমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী ফ্লাইটে ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে লিটার প্রতি ১৩০ টাকা দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আওতাধীন পদ্মা অয়েল কোম্পানি। আজ বুধবার (২৬ অক্টোবর) থেকে বিমানের জ্বালানি তেলের নতুন এই মূল্য তালিকা কার্যকর করা হয়েছে।

বাংলাদেশে বিমানের জ্বালানি তেলের দাম এমন সময়ে বাড়ানো হলো যখন সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে লিটারপ্রতি জেট ফুয়েলের মূল্য ১.৯০ ডলার থেকে কমে ১ ডলারে নেমেছে।

বিপিসির কর্মকর্তারা জানান, ভারতের কলকাতার বাজারে বিমানের জ্বালানি তেলের গড় মূল্যের ভিত্তিতে প্রতি মাসে দেশের জেট ফুয়েলের দাম পর্যালোচনা করা হয়।

এর আগে, ২০২০ সালের অক্টোবরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারিত ছিল ৪৬ টাকা। ২০২১ সালে কয়েক দফা বাড়িয়ে তা ৭৭ টাকা করা হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দুই দফায় কমানো হলেও পরে ধাপে ধাপে বাড়িয়ে সর্বশেষ ১২৫ টাকায় ঠেকে।

একইভাবে আন্তর্জাতিক রুটের জন্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি লিটার ৫০ সেন্ট (০.৫ ডলার)। প্রায় ১৫ মাসের মধ্যেই এটি দ্বিগুণ হয়ে ১.০৯ তে গিয়ে ঠেকে। তবে এবার তা কমে ১ ডলারে নেমেছে।

এভিয়েশন ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি এয়ারলাইন্সের ৪০ শতাংশ পরিচালন ব্যয় হয় জেট ফুয়েলে। এর দাম যত বেশি, ব্যয় তত বেশি। যেসব দেশ কম দামে তেল কিনছে, তাদের পরিচালন ব্যয় কম হচ্ছে, যাত্রীদের জন্য তারা কমদামে টিকিট দিচ্ছে। আর বাংলাদেশে জেট ফুয়েলের অতিরিক্ত দামের কারণে এয়ারলাইন্স সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজস্ব দিন দিন কমছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh