প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১১:৫২ এএম | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১১:৫৭ এএম
বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহি হামিদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন যারা, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিকের পরিচয় দিতে পারি, বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহি হামিদুর রহমান তাদের দলের। মাত্র ১৮ বছর বয়সে দেশকে ভালোবেসে মুক্তযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন তিনি। ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে তিনি শহিদ হন। আজ তার ৫১তম শাহাদতবার্ষিকী।
মোহাম্মদ হামিদুর রহমান ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তদানিন্তন যশোর জেলার (বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলা) মহেশপুর উপজেলার খদ্দখালিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আক্কাস আলী মন্ডল এবং মায়ের নাম মোসাম্মাৎ কায়মুন্নেসা। শৈশবে তিনি খালিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরবর্তীকালে স্থানীয় নাইট স্কুলে সামান্য লেখাপড়া করেন।
১৯৭০ সালে সেনাবাহিনীর সিপাহি পদে যোগ দেন হামিদুর রহমান। পরের বছরের অক্টোবরে তিনি প্রথম ইস্টবেঙ্গল সি কোম্পানির হয়ে ধলই সীমান্তের ফাঁড়ি দখল অভিযানে অংশ নেন। তার বীরত্বে ওই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পাকিস্তানি বাহিনী পরাজিত হয় এবং তাদের ফাঁড়ি দখল করে নেওয়া হয়। তবে এ সংঘর্ষে শহীদ হন তিনি।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সীমান্তের কাছে দাফন করা হয়। পরে ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর ভারতের ত্রিপুরা থেকে তার মরদেহ এনে গ্রামের বাড়িতে পুনরায় দাফন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তাকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।