শহরাঞ্চলে ম্যালেরিয়া ছড়ায় যে ‘আক্রমণাত্মক’ মশা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২২, ০৪:০০ পিএম

ম্যালেরিয়া। ফাইল ছবি

ম্যালেরিয়া। ফাইল ছবি

আফ্রিকায় নতুনভাবে ছড়িয়ে পড়া ম্যালেরিয়া রোগের সঙ্গে গবেষকেরা এক ধরনের মশার যোগসূত্র পেয়েছেন, যারা বেশ আক্রমণাত্মক। এই প্রজাতির মশা শহরাঞ্চলে বৃদ্ধি পায় এবং ম্যালেরিয়া রোগ সম্পূর্ণভাবে নির্মূলের ক্ষেত্রে এরা বড় হুমকি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ বছর ইথিওপিয়াতে ম্যালেরিয়া প্রাদুর্ভাবের পেছনে এই মশাই দায়ী। দেশটির ডায়ার দাওয়া শহরে হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। ২০২২ সালের প্রথম ৫ মাসে যার সংখ্যা দাঁড়ায় ২,৪০০। যা ২০১৯ সালে ছিল মাত্র ২০৫ জন।

একজন বিজ্ঞানীর গবেষণায় উঠে এসেছে, “অ্যানোফিলিস স্টিফেনসি” প্রজাতির মশা ম্যালেরিয়া ছড়াচ্ছে। এ ধরনের মশা সাধারণত ভারত এবং ইরানে দেখা যায়। তবে ২০১২ সালে জিবৌতিতে এর সন্ধান মেলে। পরবর্তীতে, প্রতিবেশী ইথিওপিয়া, সুদান, সোমালিয়া ও নাইজেরিয়াতেও এই প্রজাতির মশা পাওয়া যায়।

যে কারণে এই প্রজাতির মশা আলাদা

আফ্রিকান অঞ্চলের মশা সাধারণত গ্রামীণ পরিবেশ পছন্দ করে। কিন্তু আক্রমণাত্মক অ্যানোফিলিস স্টিফেনসি দূষিত শহরগুলোতে ছড়ায়।

এই প্রজাতির মশা বালতি এবং খোলা পানির ট্যাঙ্কেও বংশবৃদ্ধি করতে পারে। অর্থাৎ, এটি শুষ্ক মৌসুমে বেঁচে থাকতে পারে। সে কারণেই অ্যানোফিলিস স্টিফেনসি প্রজাতির মশা অনন্য।

অন্যান্য আফ্রিকান দেশগুলোও হুমকিতে

গবেষকদের আশঙ্কা, এই মশা আফ্রিকান দেশগুলোর জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। ২০২০ সালে পৃথিবীতে ম্যালেরিয়া রোগে যত মানুষের মৃত্যু ঘটে তার ৯৫%-ই ঘটেছে ওই অঞ্চলে। ২০২০ সালে বিশ্বে ৬ লাখ ২৭ হাজার মানুষ এই রোগে মারা যায়।

“এটা খুবই আতঙ্কের,” বলছিলেন এক বিজ্ঞানী।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh