অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২২, ০৪:২৮ পিএম | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৩০ পিএম
ইউরোপের অ্যালপাইন হিমবাহগুলো ক্রমশ গলতে শুরু করেছে। ফাইল ছবি
বিশ্বেজুড়েই তাপমাত্রা আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে গত দুই দশকে ইউরোপের গড় তাপমাত্রা বাকি বিশ্বের চেয়ে দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। ১৯৯১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রতি দশকে ইউরোপের তাপমাত্রা বেড়েছে শূন্য দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এই সময়ের মধ্যেই কার্বন নিঃসরণ রেকর্ড মাত্রায় কমিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো।
সম্প্রতি জাতিসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত সংস্থা ডাব্লিউএমও এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস যৌথ সমীক্ষা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেই প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি বিপদের উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইউরোপের অ্যালপাইন হিমবাহগুলো ক্রমশ গলতে শুরু করেছে। ১৯৯৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অ্যালপাইন হিমবাহগুলো গড়ে ৩০ মিটার গলে গেছে। এই হারে হিমবাহ গলতে থাকলে বড় বিপর্যয় হতে পারে। গ্রিনল্যান্ডের বরফের চাদরও গলছে, যার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠ উঁচু হচ্ছে।
২০২১ সালের গ্রীষ্মে প্রথম গ্রিনল্যান্ডে বৃষ্টি হয়েছে। তুষারপাতের জায়গায় বৃষ্টির পানি পড়েছে বরফের চাদরের ওপর। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও ইউরোপে একের পর এক তাপপ্রবাহ, বন্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পশ্চিম এবং দক্ষিণ ইউরোপে এধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত উষ্ণায়নের কারণে পাঁচ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, ক্ষতি হয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের। এরমধ্যে ৮৪% ঘটনাই বন্যা কিংবা ঝড়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ইউরোপের দেশগুলো গড়ে ৩১% কার্বন নিঃসরণ কমাতে পেরেছে।
এই শতকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ইউরোপ কার্বন-নিউট্রাল বা কার্বন নিরপেক্ষ জায়গায় পৌঁছাতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।