এখন ঘুষ লেনদেন হয় ডলারে: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২২, ০৭:৪৫ পিএম | আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২২, ০৯:১৬ পিএম

ঘুষ। ছবি: প্রতীকী

ঘুষ। ছবি: প্রতীকী

এখন বস্তাভর্তি টাকায় নয়, ডলারের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন হয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর)  বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন।

জহুরুল ইসলাম আশু নামে একজনের পরিবর্তে কারারক্ষীর চাকরি করছেন একই নামের আরেকজন- এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিকালে আদালত এ মন্তব্য করেন। 

আদালতে আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। 

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, গণমাধ্যমে দেখা যায় ঘুষ লেনদেনে বস্তায় বস্তায় টাকা বিনিময় হয়। তখন হাইকোর্ট বলেন, ‘এখন আর বস্তায় নয়, ঘুষ নিচ্ছে ডলারে।’ এ সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক কী করে- এমন প্রশ্নও তোলেন হাইকোর্ট। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র পাননি তিনি। চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে এশু কাপড় ব্যবসা শুরু করেন।

১৮ বছর পর জানতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিও ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। তবে এরপরও প্রতারণা করে চাকরি নেওয়া ব্যক্তিকে চাকরিচ্যুত না করায় কারা অধিদপ্তরে আবেদন করেন প্রকৃত জহিরুল ইসলাম এশু। তার সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। শুনানি শেষে আগামীকাল বুধবার (৯ নভেম্বর) বিষয়টি আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ছদ্মবেশ ধারণ এবং বিভিন্ন জাল-জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম ও সিলেটে ২০০ কারারক্ষী চাকরি করছে- গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রচারিত হয়। পরে কারাকর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে ৮৮ জনের জালজালিয়াতি প্রমাণ পায়। এরমধ্যে এমন ৩ জনকে পাওয়া যায়, যারা অন্য আরেকজনের পরিবর্তে চাকরি করছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh