অবৈধ ইটভাটা ভাঙার নির্দেশ আদালতের, গড়ার নির্দেশ কার

ধামরাই প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২২, ০৩:৩৮ পিএম

 ইটের ভাটা। ছবি: প্রতিনিধি

ইটের ভাটা। ছবি: প্রতিনিধি

ধামরাই উপজেলাজুড়ে রয়েছে কয়েকশ বৈধ-অবৈধ ইটের ভাটা। তার মধ্য থেকে ৭৬টি ইটের ভাটা একেবারে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই মতে গত ১ অক্টোবর জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে নান্নারে ১টি, ঘোড়াকান্দা ১টি, ডাউটিয়া এলাকায় ৩টি ও মধুডাঙ্গা এলাকায় ২টিসহ মোট ৭টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

অথচ অদৃশ্য ক্ষমতায় গুঁড়িয়ে দেওয়া ৭টি ভাটায়ই এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবার নতুন চিমনি তৈরি শুরু করেন ইটভাটা মালিকরা। প্রশাসন ভেঙে দেওয়ার পর, কার নির্দেশে এসব ভাটা নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ভাটামালিকরা। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা মনে করছে স্থানীয় প্রশাসনের তদারকির অভাবেই আবার নতুন করে চিমনি তৈরি করে ভাটা চালু করেছে তারা।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা থেকে, জেলা প্রশাসন ও ধামরাই উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রায় ৭৬টি অবৈধ ইটভাটা ভাঙার তালিকা রয়েছে। এসব ভাটার ২০১৮ সালের আগেই পরিবেশ ছাড়পত্র ও ডিসি লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ এবং ভবিষ্যতে এসব ভাটার কাগজপত্র নতুন করে পাওয়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই। সেই ধরনের ইটভাটা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ধামরাই উপজেলা প্রশাসন।

সেই তালিকা অনুযায়ী ১ অক্টোবর ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনুল হক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তারের যৌথ নেতৃত্বে এসব অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়। 

ওই দিন ঢাকা জেলা যুবলীগ নেতা মো. আবদুল লতিফের মালিকানাধীন নান্নার এলাকায় অবস্থিত একতা ব্রিকস (বর্তমানে লামিয়া ব্রিকস-৫) মেসার্স এমকেবি ব্রিকস (বর্তমানে লামিয়া ব্রিকস-৪) নামের ২টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেকু দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

সরেজমিনে আরও দেখা যায়, নান্নার এলাকার ভাঙা একতা ব্রিকস আবার নতুন করে চিমনি তৈরি করেছে, ঘোড়াকান্দার মেসার্স এমকেবি ব্রিকস নতুন চিমনি তৈরি করেছে। এ ছাড়াও ডাউটিয়া ব্রিকস, হালিমা ব্রিকস, সান ব্রিকস নতুন চিমনি তৈরি করে ইট পোড়ানো শুরু করেছে। 

এ বিষয়ে ইট ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা শুনেছি হাইকোর্টের নির্দেশে প্রশাসন এসে অবৈধ ভাটার চিমনি ভেঙে দিয়েছে। কার নির্দেশে ভাটাগুলো আবার নতুন করে চিমনি তৈরি করছে আমার বুঝে আসে না; এতে লাভ হলো কার? ভেঙে না দিয়ে জরিমানা করলেও তো সরকারের কোষাগারে কিছু টাকা জমা হতো। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, ভেঙে দেওয়া ভাটা নতুন করে তৈরি করে চালানোর তথ্য পেয়েছি। এদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh