কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল স্টেডিয়াম
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২২, ০৩:৩১ পিএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ১১:০৭ পিএম
কাতারের দুই প্রান্তের দুইটি স্টেডিয়ামের সর্বোচ্চ দূরত্ব ৫৫ কিমি। ফলে কোনো দর্শক একইদিনে একাধিক ম্যাচ দেখতে চাইলে তাঁর কোনো সমস্যা হবে না। মেট্রো, ট্রাম, বাস যেকোনো যানেই যেকেউ যেতে পারবেন অনায়াসে।
প্রতিটি স্টেডিয়ামে সোলার প্যানেল ফার্ম থাকবে। থাকছে তাপমাত্রা কমানোর ব্যবস্থা। নভেম্বর-ডিসেম্বরে খেলা হলেও কাতারে গরম থাকবে। ফুটবলার এবং দর্শকদের যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্যেই এই ব্যবস্থা।
ছবিতে লুসাইল স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামেই উদ্বোধনী ম্যাচ এবং ফাইনাল-সহ মোট ১০টি খেলা হবে। এর ধারণক্ষমতা ৮০ হাজার দর্শক।
সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার, বিশ্বকাপের পরেই স্টেডিয়ামের যাবতীয় আসন বিক্রি করে দেওয়া হবে এবং স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলা হবে।
ছবিতে আল জানিয়ুব স্টেডিয়াম। এর ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার দর্শক। মোট সাতটি ম্যাচ হবে এখানে। এটি আগে আল আকরা স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল।
এই স্টেডিয়ামের নকশা ছড়িয়ে পড়ার পরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ব্রিটিশ ভাস্কর দামে জাহা হাদিদের নকশা উন্মোচনের পরেই অনেকে অভিযোগ করেন, এটি দেখতে মহিলাদের যৌনাঙ্গের মতো। প্রবল সমালোচনা হলেও নকশা বদলানো হয়নি।
ছবিতে আল বায়াত স্টেডিয়াম। এর ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার দর্শক। প্রথম ম্যাচ-সহ আটটি ম্যাচ হবে এখানে। একটি সেমিফাইনালও এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এটি দেখতে মরুভূমির তাঁবুর মতো।
কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ- ২০২২ শুরু আর মাত্র দিন তিনদিন বাকি। আগামী রোববার (২০ নভেম্বর) এবারের আসরের পর্দা উঠতে যাচ্ছে। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ বলে খ্যাত এই ফুটবল বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো কাতারের আটটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
আটটির মধ্যে কোনো স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে নৌকার আদলে, কোনোটা দেখতে টুপির মতো, আবার কোনোটায় ব্যবহার করা হয়েছে শিপিং কন্টেইনার। ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কাতারের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এমন নান্দনিক সব স্টেডিয়ামেই বসবে এবারের বিশ্ব ফুটবলের জমজমাট লড়াই।