সাদিও মানের বিশ্বকাপে খেলার আশা শেষ

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২২, ০৯:২৩ এএম | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২২, ১১:৫৪ এএম

 সাদিও মানে। ছবি: এপি

সাদিও মানে। ছবি: এপি

আফ্রিকার ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকার নাম সাদিও মানে। মোহাম্মদ সালাহের মিশরকে পেছনে ফেলে সেনেগালকে পাইয়ে দিয়েছিলেন কাতারের টিকিট। এরপর স্বপ্ন বুনতে থাকেন নিজের জন্মভিটাকে সেরা সাফল্য পাওয়ার। কিন্তু আর সেই স্বপ্নসাধ আর পূরণ হলোনা। দলের সঙ্গে কাতার গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে ইনজুরির কারণে। মূলত বিশ্বকাপের মতো আসরে নিজেদের সেরা তারকাকে পেতে সাদিও মানের চোটের অবস্থা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পর্যালোচনা করছিল আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। তবে চোট অনেক বেশি গুরুতর হওয়ায় ছুরি-কাঁচির নিচে যেতেই হচ্ছে মানেকে। এখন তার ঠিকানা মাঠ নয়, হবে হাসপাতালের বিছানা।

সে কারণেই নিশ্চিতভাবে এবারের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন সেনেগালকে আফ্রিকান ন্যাশন্স চ্যাম্পিয়নশিপ জেতানোর এই মহানায়ক। শুরুতে অবশ্য মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সেনেগালের ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছিল, টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না মানে। কিন্তু পরে বৃহস্পতিবার রাতে (১৭ নভেম্বর) তার চোটের সর্বশেষ অবস্থা জানতে আরও একটি এমআরআই স্ক্যান করানো হয়। এমআরআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়, মানের হাঁটুতে দ্রুত সময়ের মধ্যে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। তাই মাঠে নামার বিষয়ে আপাতত কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নে এবার চপেটাঘাত পড়লে সেনেগালের সাদিও মানের কপালে।

মাঠের খেলায় ইনজুরিতে পড়ে এই বায়ার্ন মিউনিখ তারকাকে মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে। যে ইনজুরিতে পড়েছেন তাতে করে, মানের সুস্থ হতে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে। জার্মান বন্দেসলিগায় ভার্ডার ব্রেমেনের বিপক্ষে মাঠে নামে বায়ার্ন। ম্যাচের ২০ মিনিটে ডান হাঁটুতে আঘাত পান সাদিও মানে। এরপর মাঠেই চিকিৎসা শেষে সতীর্থদের সাহায্যে মাঠ ছাড়েন তিনি। বায়ার্ন ম্যাচটিতে ৬-১ গোলে জিতলেও শেষ হয়ে যায় মানের বিশ্বকাপ। সেনেগাল কোচ অ্যালিউ সিসের জন্য এটা অনেক বড় একটা ধাক্কা বটে। দলের সবচেয়ে বড় তারকা মানেকে ছাড়াই দল ঘোষণা করতে হয়েছে কাতারগামী বিশ্বকাপের দল। এবারের ব্যালন ডি’অরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান ছিলেন লিভারপুলের সাবেক এই তারকা ফুটবলার।

তাঁর চোটে পড়া নিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ কোচ ইউলিয়ান নাগলসমান বলেছেন, ‘সাদিও মানে টিবিয়ার ওপরের ভাগে আঘাত পেয়েছে। এ জায়গায় চোট সব সময় খেলোয়াড়দের মধ্যে একটা অস্বস্তি তৈরি করে। খারাপ কিছু হয়েছে কি না, তা এক্সরে করে দেখতে হয়’। নাগলসমান যতই আশ্বস্তÍ করার চেষ্টা করুক না কেন, মানের চোট ইতিমধ্যেই ভয় ধরিয়ে দিয়েছে সেনেগাল ভক্তদের মনে। জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বোচ্চ ৩৪ গোল করেছেন এই ফরোয়ার্ড। বিশ্বকাপের ১৩ দিন আগে পাওয়া দলের সেরা তারকার এমন চোট সেনেগালের শক্তিতে বিরাট রকম ভাটা পড়েছে। বিশ্বকাপের আগে প্রায় প্রতিদিন কেউ না কেউ চোটে পড়ে দল থেকে ছিটকে যাচ্ছেন। শেষ আশাটা তাই শেষ হয়ে গেল। এখন তিনি কন্তে, পগবাদের মতোই দর্শক বনে গেছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh