বিশ্বকাপ ১৯৫৮: পেলের ছোঁয়ায় ব্রাজিলের প্রথম শিরোপা জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২২, ০৭:৫৬ পিএম

ফুটবল বিশ্বকাপ ষষ্ট আসরে ব্রাজিলের দল। ছবি: সংগৃহীত

ফুটবল বিশ্বকাপ ষষ্ট আসরে ব্রাজিলের দল। ছবি: সংগৃহীত

ফুটবলের রাজা হতে যে তিনি এসেছিলেন সেটার প্রথম প্রথম আসরেই রাখতে পেরেছিলেন পেলে। পাঁচটি আসরে খেললেও শিরোপা জিততে পারেনি। বিশেষ করে ১৯৫০ সালের আসরে ফাইনালে উঠেও শিরোপা জেতা হয়নি। নিজ মাঠ মারাকানায় দুই লাখ দর্শকের সামনেও জেতা হয়নি। আট বছর পর সুইডেনে সেই মহেন্দ্রক্ষন নিয়ে আসেন খেলোয়াড়রা। 

মূল আসরে ১৬টি দেশ খেললেও বাছাইপর্বে অংশ নেয়া দলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৫৩টি। তবে সেখান থেকে উত্তীর্ণ হতে না পারা ইতালি, স্পেন, উরুগুয়ে, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডের নামগুলো ছিল বেশ হতাশার। খর্বশক্তির দল নিয়ে ইংল্যান্ড যেমন কোন ম্যাচই জেতেনি অন্যদিকে আর্জেন্টিনাও বিদায় নেয় প্রথম পর্ব থেকেই। এছাড়া পুসকাস হাঙ্গেরি ছেড়ে স্পেনে চলে পাওয়ায় হারিয়ে ফেলে জৌলুস। দুনিয়া কাঁপানো গোলরক্ষক লেভ ইয়াসিনকে নিয়ে এই আসরে অভিষেক হয় রাশিয়ার।

১৯৩৮ সালের ভুল এবং ১৯৫০ আসরের ট্র্যাজেডি পেছনে ফেলে ষষ্ঠবারের প্রচেষ্টায় শিরোপা জেতে ব্রাজিল। তার চেয়েও বড় কথা প্রথম কোনো দেশ অন্য মহাদেশ থেকে শিরোপা জিতে নিয়ে আসে। মাত্র ১৭ বছরের একজন কিশোরের দুর্দান্ত উত্থানের আসরও সাক্ষী থাকে বিশ্বকাপ। পেলে ছাড়াও ডিডি, সান্তোস, জাগানো ও গারিঞ্চার সমন্নয়ে এমনিতেই ব্রাজিল দারুণ একটা দল। সাম্বা নৃত্য দেখে বুদ হয়ে থাকে ৪-২-৪ ফরমেশন প্রথমবারের মতো দেখে। সেমিফাইনালে উড়ন্ত ফ্রান্সকে ৫-২ গোলে এবং ফাইনালে স্বাগতিক সুইডেনকে ৫-২ গোলে পরাজিত করে প্রথমবার শিরোপা উল্লাসে মাতে পেলে ব্রাজিল। 

এই আসরে ফ্রান্সের জাস্ট ফন্টেইন গোলমেশিন হিসেবে আবির্ভুত হন। আসরে তৃতীয় হওয়া ফ্রান্সের ২৩ গোলের ১৩টি আসে তার পা থেকে। বর্তমান সময়ে কোন স্ট্রাইকার একা ১৩ গোল যেন স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন ব্রাজিলের এডসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তা পেলে।

এক নজরে ষষ্ট আসর
স্বাগতিক : সুইডেন
চ্যাম্পিয়ন : ব্রাজিল (প্রথমবার শিরোপা জয়)
রানার্সআপ : সুইডেন
সময়কাল : ৮-২৯ জুন ১৯৫৮
অংশগ্রহকারী দলসমুহ : চার গ্রুপে মোট ১৬টি দল (পশ্চিম জার্মানি, উত্তর আয়ারল্যান্ড, চেকোস্লোভাকিয়া, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, যুগোস্লোভাকিয়া, প্যারাগুয়ে, স্কটল্যান্ড, সুইডেন, ওয়েলস, হাঙ্গেরি, মেক্সিকো, ব্রাজিল, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া)
মোট ভেন্যু : ১২টি (১২ শহরে)
মোট ম্যাচ : ৩৫ টি
মোট গোল : ১২৬ টি (ম্যাচ প্রতি ৩.৬০)
সর্বোচ্চ গোলদাতা : জাস্ট ফন্টেইন (ফ্রান্স) ১৩টি
সেরা তরুণ খেলোয়াড় : পেলে (ব্রাজিল)
মোট দর্শক উপস্থিতি : ৯১৯৫৮০ (ম্যাচ প্রতি গড়ে ২৬২৭৪)

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh