অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ১২:৪৩ পিএম
ইবাদত। ছবি: সংগৃহীত
ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। সহীহ শুদ্ধ ভাবে যে কোনো ইবাদতই আল্লাহ কবুল করেন। হচ্ছে ইসলামের দ্বিতীয় রুকন। প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জন্য নামাজ ফরজ।
ফরজ নামাজ আদায়ের পর একজন মুমিনের কর্তব্য হলো সুন্নাত ও নফল নামাজ আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।
নফল হচ্ছে অতিরিক্ত ইবাদত, যেগুলো ফরজ নয়। এটি এমন ইবাদত, যে ইবাদত অতিরিক্ত হিসেবে ধরা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাসুল (সা.)-এর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। যেমন—আপনি অতিরিক্ত একটি সিয়াম পালন করলেন।
অন্যদিকে শরীয়তের পরিভাষায়, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি বাণী,কাজ, অনুমোদন ও মৌন সম্মতিকে সুন্নাত বলে। ‘সুন্নত’ শব্দের আভিধানিক অর্থ সুস্পষ্ট রীতি, নিয়ম, আদর্শ তরীকা ইত্যাদি। প্রচলিত অর্থে রাসুল(সাঃ)-এর রীতিনীতিকে সুন্নত বুঝায়। ইসলামী পরিভাষায়, রাসুল (সা.)-এর দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজ, বানী, পছন্দনীয় রীতিনীতি ও নির্দেশিত পথকে সুন্নত বলে।
একটির জন্য রাসুল (সা.)-এর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আরেকটির জন্য দেওয়া হয়নি। নফল ও সুন্নতের মধ্যে পার্থক্য এতটুকুই।