সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করতে হবে

সৌরভ মাহমুদ

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২২, ০৭:৪০ পিএম

নিত্যপণ্য বাজারে নৈরাজ্য। ফাইল ছবি

নিত্যপণ্য বাজারে নৈরাজ্য। ফাইল ছবি

সম্প্রতি জীবনধারণের প্রতিটি ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকভাবে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দেশে বহুমানুষ মানবেতর জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজি অব্যাহত থাকলে মানুষ খেয়ে-পরে বেঁচে থাকবে কী করে? যারা অতি মুনাফার উদ্দেশ্যে ভোক্তাদের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত কঠোর শাস্তি দিতে হবে। 

দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করা সবজি খুচরা বাজারে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ভোক্তা, পাশাপাশি বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকও। 

লক্ষ করা যায়, কোনো পণ্যের দাম বিশ্ববাজারে যে হারে বৃদ্ধি পায়, স্থানীয় বাজারে এর চেয়েও বেশি বাড়ানো হয়। আবার পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব পড়ে দেরিতে।

অব্যাহত মূল্যস্ফীতির কারণে দম বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ভোক্তাদের। কেবল চাল, ডাল, ভোজ্যতেল আদাই নয়; প্রায় সব নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দরে; শিশুখাদ্যের দামও আকাশছোঁয়া। ফলে নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতার দীর্ঘশ্বাস বেড়েই চলেছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ভোক্তাকে। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে গরিব মানুষ। 

প্রশ্ন হলো, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বাজার তদারকি সংস্থাগুলো যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দেরি করছে কেন? চাল এ দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য। মানুষ তার আয়ের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ব্যয় করে খাদ্য খাতে। স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষ চাল কিনতেই সবচেয়ে বেশি অর্থব্যয় করে থাকে। কাজেই চালের দামের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবনমান। এ অবস্থায় চাল-আটার মতো নিত্যপণ্য নিয়ে কোনো ধরনের কারসাজি চলতে দেওয়া উচিত নয়।

মৌসুমে বাজারে চাল উঠতে শুরু করলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম কমবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু লক্ষ করা গেছে, ভরা মৌসুমেও চালের বাজার ছিল অস্থির। আমরা আশা করব, যাদের কারসাজির কারণে ভরা মৌসুমেও চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, তাদের চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


সৌরভ মাহমুদ
রায়েরবাজার, ঢাকা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh