অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২২, ০২:২৭ পিএম
ফাইভ জি। প্রতীকী ছবি
মোবাইল ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তির সবশেষ সংযোজন ফাইভ জি। প্রযুক্তিটির পরীক্ষামূলক সেবা চালুর পর নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার কথা। অপারেটরগুলো প্রস্তুত থাকলেও মাঠপর্যায়ে প্রস্তুতিতে রয়েছে ব্যাপক ঘাটতি।
প্রযুক্তিতে উন্নত বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ভারী যন্ত্রপাতির কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে শ্রমিকবিহীন। যা সম্ভব হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবোটিক বিজ্ঞানের কল্যাণে ফাইভ জি প্রযুক্তির মাধ্যমে। বিশ্বের নবম দেশ হিসেবে ২০২১ সালে ফাইভ-জির পরীক্ষামূলক সেবা চালু করে বাংলাদেশ। প্রথম অপারেটর হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল সেবাদাতা টেলিটকের মাধ্যমে রাজধানীর ছয়টি স্থানে শুরু হয় এ সেবা। পূর্ণাঙ্গরূপে প্রযুক্তিটি চালু করতে ২৩৬ কোটি টাকার যে প্রকল্প নেওয়া হয় তা স্থগিত হয় গেলো আগস্টে।
অথচ দেশে ফাইভ জি নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তার জন্য মাঠপর্যায়ে যে বিশাল সমন্বয়ের প্রয়োজন সেখানে আছে ঘাটতি।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা শাহেদ আলম বলেন, আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতি আছে। চাইলেই ফাইভ জি আনা সম্ভব না। সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সরকারি বা বেসরকারি কোনো জায়গা থেকেই আমরা সহায়তা পাচ্ছি না।
এমন অবস্থায় ২০২৬ সালের মধ্যে সারাদেশে ফাইভ জি ছড়িয়ে দিতে সরকারের যে পরিকল্পনা তা দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।