বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ০১:০০ পিএম
জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার। ফাইল ছবি
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জটিলতা ছিল। গত সোমবার (২১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। ফলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করবেন নিপুণ।
রায় ঘোষণার পরে জায়েদ খান বলেন, এই রায় চূড়ান্ত রায় না। চূড়ান্ত রায়ে আমিই জিতব।
গত ২৮ জানুয়ায়িার এফডিসিতে সংগঠনের ভোটগ্রহণের ফলাফলের পরে সাধারণ সম্পাদক পদের ফল নিয়ে অভিযোগ তুলেন অভিনেত্রী নিপুণ। পরে বিষয়টি আইনি জটিলতায় গিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এ ঘটনার পর থেকে এফডিসিতে জায়েদ খানকে আর আগের মতো দেখা যায় না। এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে অভিনেতার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছিলেন, পদটির রায় আদালতে ঝুলে থাকার পরও দায়িত্ব পালন করছেন নিপুণ। এ কারণে লজ্জায় এফডিসিতে যান না জায়েদ।
অভিনেতার এই মন্তব্যের বিষয়ে চলতি নভেম্বরে জানতে চাওয়া হয় নিপুণের কাছে। তিনি বলেন, এফডিসিতে আসতে যদি খুব লজ্জা লাগে তাহলে বোরকা পরে আসুক। এফডিসিতে নায়করাজ রাজ্জাক, নায়ক মান্না, সালমান শাহসহ অনেক শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয়। সেখানে তো তিনি আসতে পারেন। একজন শিল্পী হিসেবে তিনি আসতেই পারেন এফডিসিতে।
নিপুণের বোরকা পরে এফডিসিতে আসার মন্তব্যের জবাবে জায়েদ খান বলেন, আমি সমিতিতে যাব, বিভিন্ন মিলাদ মাহফিলে যাব, সেখানে ওই চেয়ারে (সাধারণ সম্পাদক) বসে থাকতে দেখব তাকে (নিপুণ); এটা কী ভালো লাগবে আমার কাছে। সে ভোটে নির্বাচিত না, তারপরও কি আমার মন সমর্থন করবে তার চেয়ারে বসে থাকা?
জায়েদ খান আরো বলেন, তিনি (নিপুণ) চেয়ারে না বসে অন্য কেউ ওই পদের দায়িত্ব পালন করুক। আমি যাবতীয় কাজ করে যাব। আমি তো কখনো আমার সত্যতার কাছে হেরে যাব না। আমি ভোটে নির্বাচিত। সেখানে গিয়ে তাকে চেয়ারে বসে থাকতে দেখব, নেমপ্লেট দেখব-এসব দেখলেই তো কষ্ট লাগবে। আমি নির্বাচিত হওয়ার পরেও কীভাবে আমার চেয়ারে অন্য একজন বসে? যদি আমি ভোটে হেরে যেতাম তাহলে প্রশ্ন তোলা ঠিক ছিল।