নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১০:৪৯ পিএম
বিএনপির দলীয় পতাকা। ছবি: ফাইল
আগামী ১০ ডিসেম্বর শর্তসাপেক্ষে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দলটি। তারা বলছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হয়নি। তাই প্রশাসনের অনুমতি না মিললেও, নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার দাবিতে অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছে বিএনপি নেতারা।
জানা যায়, গণমাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রচারের পরপরই বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী তা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চায়নি। নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আর সেখানেই সমাবেশ হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে এক অনুষ্ঠানে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, তারা নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছেন। তিনি বলেন, অনুমতি দিলেও নয়াপল্টনে সমাবেশ করব, না দিলেও সেখানে সমাবেশ করব।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের হালিশহরে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঢাকার সমাবেশ ১০ তারিখ নয়াপল্টনেই হবে। এখানে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রশাসনকে বলবো, জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না।
জানা যায়, গত ১৫ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সাথে সাক্ষাৎ করেন দলটির নেতারা।
এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমাবেশের আরও কয়েকটি বিকল্প ভেন্যুর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি নেতারা কিছু বলেননি। তবে সমাবেশের বিকল্প হিসেবে তিনটি স্থান নিয়ে পরিকল্পনা করেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় তারা মানিক মিয়া এভিনিউ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যোন ও আরামবাগ মোড় পরিদর্শনও করেন। তবে এসব ভেন্যুর তালিকা প্রশাসনের কাছে দেওয়া হয়নি বলে দাবি বিএনপির।
এর আগে, গত সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশ ঘোষিত স্থানে এবং নির্দিষ্ট দিনেই হবে।
এর পরদিন মঙ্গলবার নয়াপল্টনে এক সমাবেশেও মির্জা ফখরুল একই কথা জানান। তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এটা জনগণের ঘোষণা। ওইদিন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেই সমাবেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সেদিন থেকে শুরু হবে এক দফার আন্দোলন। এখানে কোনো আপোস নেই।