অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২২, ১১:২৫ এএম
চাহিদা পূরণে হাদিসে নির্ধারিত সময়ে দোয়া করার বিকল্প নেই। ছবি: সংগৃহীত
জুমার দিনের বিশেষ কিছু আমল রয়েছে। তারমধ্যে একটি হলো আসর থেকে মাগরিবের মধ্যে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছোট্ট একটি দরূদ পড়া। আর অপরটি হলো আসর-মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়ে ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায় আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস: ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস: ১৩৮৯)
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলিম এ সময়ে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এ মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)
আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, জুমাবারে এমন একটি সময় আছে, যেটাতে বান্দা আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দিয়ে থাকেন। (মুসান্নাফ, হাদিস: ৫৫৮৮)
আল্লাহর কাছে বান্দার চাহিদার শেষ নেই। এসব চাহিদা পূরণে হাদিসে নির্ধারিত সময়ে দোয়া করার বিকল্প নেই। তাই জুমার দিন আসরের পর থেকে মাগরিবের আগ পর্যন্ত সময়ে দাঁড়িয়ে মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি প্রার্থনা করা। কাঙ্ক্ষিত চাহিদাগুলো সবিনয়ে তুলে ধরা। হাদিসের ওপর আমল করাই মুমিন মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।
হাদিসের বিশুদ্ধ বর্ণনায় এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, আসর থেকে সূর্য ডোবা পর্যন্ত অর্থাৎ মাগরিব পর্যন্ত সময়ে আল্লাহর কাছে যে দোয়া-ই করা হয়, আল্লাহ তাআলা তা কবুল করে নেন।