চিনি নিয়ে ভোগান্তির শেষ কোথায়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২২, ১১:৩৪ এএম

চিনি। ছবি: সংগৃহীত

চিনি। ছবি: সংগৃহীত

কয়েকদিন আগে বাজার থেকে এক প্রকার চিনি উধাওয়ের নাটক করে ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছ থেকে নিজেদের পছন্দ মতো বাড়তি দাম নির্ধারণ করেন পণ্যটির। সেই বাড়তি দামের বাজারে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। ওই নির্ধারিত দামের চেয়েও বাড়তি দামে তারা পণ্যটি বিক্রি করছেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষজন। দিনে উপার্জন করা মানুষরা তো নিজেকেই অভিশাপ দিচ্ছেন। কবে তারা মুক্ত হতে পারবেন এই সংকট থেকে- জানতে চান সাধারণ মানুষ।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে  নানা অজুহাতে ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামে চিনি বিক্রি করছেন। গ্যাস সংকটে চিনি পরিশোধনে খরচ বাড়ছে, এমন অজুহাতে চিনির দাম বেড়েছে জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, শিগগির এ সংকট কেটে যাবে। তবে তা হয়নি। চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে পরে দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। প্রতি কেজি খোলা চিনি ১০২ ও প্যাকেটজাত চিনি ১০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে এরপরও বাজারে সব ধরনের চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। 

এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে আরো বেড়েছে আটার দাম। তবে কিছুটা দাম কমেছে পেঁয়াজের।

আজ শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সব দোকানেই নির্ধারিত দামের চাইতে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। সেখানে মারজানা স্টোর নামে এক মুদি দোকানের দোকানি রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার দাম ঠিক করে দিয়েছে, কিন্তু কোম্পানি আমাদের বেশি দামেই চিনি দিচ্ছে। আমাদের কেনাই পড়ছে ১১০ টাকার উপরে। আমরা নির্ধারিত দামে বিক্রি করবো কীভাবে?

অন্যদিকে প্যাকেট আটা কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা আর খোলা আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫ থেকে ১০ টাকা কমে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।

এছাড়া বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, সোনালি মুরগী ২৫০ টাকা ও দেশি মুরগী ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১২০ টাকা আর হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh