ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ৩১০

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২২, ০৯:১৯ পিএম | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১২:০৬ এএম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ৩১০। সংগৃহীত ছবি

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ৩১০। সংগৃহীত ছবি

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১০ জনে। এছাড়া ২৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। ভূমিকম্পের ঘটনায় আহত হয়েছে দুই হাজারের বেশি। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে সিজিটিএন।

গত সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে দক্ষিণ-এশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিয়ানজুর অঞ্চলে ৫.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় অনেক জায়গায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে অনেক স্থানে রাস্তাঘাট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) তথ্য মতে, দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। আঘাতে সিয়ানজুর অঞ্চলের বহু স্কুলের দেয়াল ধসে পড়ে। ওই সময় ক্লাস চলছিল। ফলে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে বহু শিশু শিক্ষার্থী।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ভূমিকম্পে বহু স্কুলভবন ধসে পড়ায় অনেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পশ্চিম জাভার প্রায় সব হাসপাতাল ভরে গেছে ভর্তি হওয়া কোমলমতি শিশুতে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে এখনও অভিযান চলছে। ওই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার ঘরবাড়ি। এছাড়া ৩১টি স্কুল ও ১২৪টি মন্দির-মসজিদ ও তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভেঙে পড়েছে।

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো সিয়ানজুর অঞ্চল। সেই ধ্বংসস্তূপ সরাতেই এখন বেরিয়ে আসছে একের পর এক মরদেহ। ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন বাসিন্দারা। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) চীনা সংবাদ মাধ্যম সিজিটিএন জানায়, এখন পর্যন্ত ৩১০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া আরও ২৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। এ সময় উদ্ধার অভিযান দ্রুত শেষ করার নির্দেশের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তার ঘোষণা দেন তিনি। বলেন, হতাহতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেয়া আছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh