সোনা দিয়ে তেল কিনবে ঘানা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২২, ১০:৫৪ পিএম | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১২:০৪ এএম

ঘানার ভাইস-প্রেসিডেন্ট। ছবি রয়টার্স

ঘানার ভাইস-প্রেসিডেন্ট। ছবি রয়টার্স

মার্কিন ডলারের রিজার্ভ ব্যয় না করে সোনা দিয়ে তেলজাত পণ্য কেনার নতুন একটি পরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করছে আফ্রিকার দেশ ঘানা। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে এই তথ্য জানিয়েছেন ঘানার ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাহামাদু বাইউমিয়া। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ নেওয়ার অর্থ হলো তেল আমদানির করার ক্ষেত্রে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমানো। রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে দেশটির স্থানীয় মুদ্রা দুর্বল হচ্ছে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে।

সরকারের তথ্য অনুসারে, সেপ্টেম্বর শেষে ঘানার নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৬.৬ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে দেশটির মাত্র তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। গত বছরের এই সময়ে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৯.৭ বিলিয়ন ডলার।

ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফেসবুকে লিখেছেন, পরিকল্পনামতো যদি ২০২৩ সালের প্রথমার্ধ্বে এই নতুন নীতি বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে আমাদের অর্থ পরিশোধের ভারসাম্য মৌলিকভাবে পাল্টে দেবে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে আমাদের মুদ্রার অবমূল্যায়ন হ্রাস করবে।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, সোনা দিয়ে জ্বালানি ও তেলজাত পণ্য কেনার ফলে বিনিময় হারের সরাসরি প্রভাব ঠেকানো যাবে। কারণ দেশের বিক্রেতাদের তেলজাত পণ্য আমদানিতে বিদেশি মুদ্রার প্রয়োজন হবে না।

তিনি বলেন, তেলের জন্য সোনার বিনিময় একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত পরিবর্তন।

প্রস্তাবিত এই নীতি খুব প্রচলিত নয়। অনেক সময় বিভিন্ন দেশ অন্যান্য পণ্যের জন্য তেল বিনিময় করে থাকে। এমন চুক্তি সাধারণত তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো তেল আমদানিকারক দেশের সঙ্গে করে থাকে।

ঘানাতে অপরিশোধিত তেল উৎপাদন হয়। কিন্তু পরিশোধিত তেলের জন্য দেশটিকে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। কারণ ২০১৭ সালে বিস্ফোরণের পর দেশটির একমাত্র শোধনাগার বন্ধ হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh