বাণিজ্য ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:২৮ পিএম
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আইপিও প্রক্রিয়ায় যেসব আইন-কানুন রয়েছে তা সবার মেনে চলা উচিত। অনেক বিষয় রয়েছে যা নথিপত্র পর্যালোচনা করে পরিমাপ করা যায় না। কিছু বিষয় ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে বুঝতে হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ট্রেনিং একাডেমি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিংস (আইপিও): প্রসেসেস অ্যান্ড প্রসিডিউরস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে কমিশন ডকুমেন্ট কেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। এই ডকুমেন্ট তৈরিতে কমিশনের কোনো হাত নেই। কমিশন অডিটরদের অডিট রিপোর্টকে পর্যাপ্ত ধরে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
তিনি বলেন, কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো আইপিও’র দালিলিক প্রমাণের দিকে খেয়াল রাখা। আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে কমিশন চারটি বিষয় খেয়াল রাখে। প্রথমটি হলো- ইস্যুয়ার প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা কেমন ও তাদের মানসিকতা কী। দ্বিতীয়টি হলো- যেসব বিনিয়োগকারী আইপিওতে বিনিয়োগ করেছে, তাদের বিভিন্ন বিষয় জানা। তৃতীয়টি হলো- কোম্পানিটি কোনো রেগুলেটরি ক্রাইসিস তৈরি করবে কি না সেটি লক্ষ্য রাখা এবং চতুর্থটি হলো- যেসব প্রতিষ্ঠান দেশ ও জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারে, এমন প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত না করা।
বিএসইসির কমিশনার বলেন, কোনো আইপিও আবেদনের যথাযথ মূল্যায়ন যখন আপনাদের আকাঙ্ক্ষার সাথে সংযুক্ত হয়, সেটিই হলো কমিশনের সার্থকতা। কমিশনের কাছে যে পরিমাণ আইপিও আবেদন আসে তার অর্ধেকেরও বেশি নাম আপনারা জানতে পারেন না। কারণ সেগুলোর কিছু ত্রুটি বা অসংগতির কারণেই আমাদের টেবিল থেকে ফিরে যায়।
শেখ শামসুদ্দিন বলেন, অনেক সময় অডিটরদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই জিনিসগুলো পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আইপিও প্রসেসটাকে ডিজিটালাইজড করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য বিএসইসি বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের চেষ্টা করছে। এই ডিজিটালাইজেশন ফিনটেক টেকনোলজি ব্যবহার করে করা হবে। এজন্য সরকারের ইতিবাচক সম্মতি পাওয়া গিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ফান্ডটি পাওয়া যাবে। বিএসইসি সে ফান্ড নিয়ে পুরো আইপিও প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে।
তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন অনেক সময় আইপিও অনুমোদনের জন্য কালক্ষেপণ হয়। এজন্য বিএসইসি ও ডিএসই দায়ী থাকে না। কোম্পানির তথ্য ঘাটতির জন্য মূলত এটি হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক ও ডিএসই ট্রেনিং একাডেমির প্রধান সৈয়দ আল আমিন রহমানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।