ঢাবি কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব

হেমন্ত প্রাচ্য

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:৫০ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ১৬তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ১৬তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ১৬তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব। থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে ১-৮ ডিসেম্বর আট দিনব্যাপি চলবে এই নাট্যোৎসব। 

এবারের নাট্যোৎসবের প্রতিপাদ্য- ‘হে উৎসুক দৃষ্টিপাত, এ তীর্থে আসো যদি হে শ্রীজ্ঞান কায়ায় কায়ায় সৃজিব/ নব নব জীবনের মানুষ-রূপ-আখ্যান’। বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করে ১ হতে ৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ প্রতি সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বিভাগের স্নাতক সমাপনী সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নির্দেশিত মোট ১৫টি নাটক প্রদর্শিত হবে। 

১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে নাট্যোৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের উৎসবে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়েছে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া হবে সম্মাননা।

ইতোপূর্বে এই বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন সেলিম আল দীন, ফেরদৌসী মজুমদার, সৈয়দ শামসুল হক, আলী যাকের, আতাউর রহমান ও রামেন্দু মজুমদার।

থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আশিকুর রহমান বলেন- ‘বাংলাদেশের নাট্যচর্চায়  ঢাবি কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা তৈরি করে নিতে পেরেছে। 

এটা আমাদের জন্য ভালো লাগার। মুক্তির অভিপ্রায় ধারণ করে জ্ঞানচর্চায় ও সৃষ্টিশীলতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার অনন্য বাহক হয়ে উঠেছে।’

আসাদুজ্জামান নূর বলেন- ‘সম্মাননা পাওয়ার খবরটি তো অবশ্যই আমার জন্য আনন্দের। এর আগে যারা এই সম্মাননা পেয়েছেন তারা দেশের নাট্যচর্চায় বিশিষ্টজন। তাদের পাশাপাশি এবার আমাকে বিবেচনা করা হয়েছে, এটা তো অবশ্যই ভালো লাগার।’

থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ থেকে জানা গেছে, নাট্যোৎসবে ১ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে ‘কবর’। মুনীর চৌধুরীর লেখা নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন তানভীর আহম্মেদ। একই সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে ‘ক্যাম্প’। মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা থেকে নাট্যরূপ দিয়েছেন শংকর কুমার বিশ্বাস এবং নিদের্শনা দিয়েছেন দীপম সাহা। 

২ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে ‘কাকচরিত্র’। মনোজ মিত্রের লেখা নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন সাদমান ফাহিম। একই সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে ‘হিস্যা’। সা’দাত হাসান মান্টো থেকে অনুপ্রাণীত নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন ওবায়দুর রহমান সোহান। 

৩ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে ‘দ্য গেম’। লুইজিব্রায়ান্টের লেখা থেকে রূপান্তর ও নির্দেশনায় দিয়েছেন সায়র নিয়োগী। একই সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে ‘ফুড কনফারেন্স’। আবুল মনসুর আহমেদের লেখা থেকে নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন ফারজাদ ইফতেখার কাব্য। 

৪ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে ‘ডেথ অব দ্য মুন’। রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নীলিমা হোসেন এবং একই সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে ‘নিনামাররায়’। শংকর কুমার বিশ্বাসের লেখা থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন সুজানা জাহেদী। 

৫ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে ‘দ্য গিফ্ট অব দ্য ম্যাজাই’। উইলিয়াম সিডনী পোর্টারের থেকে নাট্যরূপ ও নির্দেশনা  দিয়েছেন শাহবাজ ইশতিয়াক পূরণ। একই সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে আরও দুটি নাটক। যার মধ্যে আছে- ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’। আন্তন চেখভের লেখা থেকে অনুবাদ করেছেন ফয়সাল আবির এবং রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন হোসাইন জীবন। এছাড়া ‘ফ্যাতাড়’। নবারুণ ভট্টাচার্যের লেখা থেকে নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন রাফায়াতুল্লাহ। 

৬ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে ‘চূর্ণলিপি’। রচনা ও নির্দেশনায় আছেন নিকিতা আযম। একই সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের রচনা থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন তনুশ্রী কারকুন। 

৭ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে ‘রূপান্তর’। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের উপসংহার অবলম্বনে নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রণব রঞ্জন বালা। একই সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে ‘একটি আদর্শ সেবা সংস্থা’। রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নাসরিন সুলতানা অনু। 

৮ ডিসেম্বর সমাপনী দিনে মঞ্চস্থ হবে মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে দ্বিজ কানাই প্রণীত ‘মহুয়া’। নির্দেশনা দিয়েছেন অধ্যাপক রহমত আলী।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh