নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:১৩ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:২১ পিএম
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ফাইল ছবি
গাইবান্ধা নির্বাচনে অনিয়মের পেছনে হুকুমদাতা কারা ছিল, তদন্ত কমিটির কাছে তাদের নাম বলেনি কেউ। তাই তাদের চিহ্নিত করা যায়নি।
আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) নিজ দপ্তরে এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
তিনি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) কমিশন সভায় গাইবান্ধা উপনির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা হতে পারে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ১৩৪ জন কর্মকর্তা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের ঘটনায় ১৩৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। তালিকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়াও আছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১২৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশের পাঁচ উপপরিদর্শক।
রাশেদা সুলতানা আরো জানান, অনিয়মের পেছনে কে বা কারা ছিল, কাদের হুকুমে হয়েছে তা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসেনি। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ শতাধিক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হলেও, কোন প্রার্থীর পক্ষে তারা কাজ করেছেন, সেটি বের করতে পারেনি তদন্ত কমিটি। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার কমিশন সভায় গাইবান্ধার নতুন ভোটের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে। কমিশন বলছে, সিসি ক্যামেরা দিয়ে আবারো গাইবান্ধার ভোট পর্যবেক্ষণ করা হবে।
সাহস ও আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করলে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেও জানান তিনি।