সরকারি চাকরি আইনের সংশোধনী মন্ত্রিসভায় উঠছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৫২ এএম | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:০২ এএম

মন্ত্রিসভার বৈঠক। ছবি: ফাইল

মন্ত্রিসভার বৈঠক। ছবি: ফাইল

দীর্ঘ ৩ বছর আগে সরকারি চাকরি আইন কার্যকরের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার। কিন্তু নানা জটিলতায় আইনটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। নানা জটিলতাগুলো সংশোধন করে আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) তা মন্ত্রিসভায় তোলা হচ্ছে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২২’। 

সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী অবসরে যাওয়ার পর ‘গুরুতর’ কোনো অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত হলে তার অবসর-সুবিধা ‘আংশিক’ বা ‘সম্পূর্ণ’ বাতিলের বিধান যুক্ত হচ্ছে সংশোধনীতে। যার মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীরা দায়মুক্তি পাচ্ছেন।

আইনের আওতায় স্ব-শাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ব্যক্তিদের বেতন ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা নির্ধারণের বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে। এছাড়াও সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি পাঁচ বছর পর সম্পদের বিবরণী নিজ মন্ত্রণালয়ে জমাদানের নিয়ম বাদ দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হতে পারে।

প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বিদ্যমান আইনের ১, ৪৮ ও ৫০ ধারায় সংশোধনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে। উক্ত আইনের ধারা ৫০ এর উপ-ধারা (১)এ উল্লিখিত ‘১৭’ সংখ্যার পরিবর্তে ‘১৫’ প্রতিস্থাপিত হবে।

ধারা ১ এর (৪ক)উপ-ধারা (৪) এর উদ্দেশ্য পুরণকল্পে এই আইনের ধারা ১৫, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ এর বিধানগুলো স্ব-শাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্যও প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কোন কোন ধারাগুলো প্রযোজ্য হবে তা স্পষ্ট করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আইনের ধারা ৪৮ এর সংশোধনীতে বলা হয়, উল্লিখিত ‘৫১’ এর পরিবর্তে ‘৪৯’ সংখ্যা প্রতিস্থাপিত হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করে গত ২৬ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগত অনুমোদনের প্রস্তাবও করা হয়। আইনের সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের আইনটি কার্যকর করার পর থেকে এ যাবত কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণে তা সংশোধন করা হচ্ছে। আইনের বিভিন্ন ধারা নিয়ে আদালতে রিটও চলমান রয়েছে।

২০০৩ সালে প্রথম আইনটির খসড়া তৈরি করা হয়। তখন আইনটির নাম ছিল ‘সিভিল সার্ভিস অ্যাক্ট’। ২০১৩ সালে খসড়াটি পরিবর্তন করা হয়। এরপর সিভিল সার্ভিস অ্যাক্ট নাম বদলে ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী আইন’ রাখা হয়। ২০১৮ সালে আইনটির নাম করা হয় ‘সরকারি চাকরি আইন’।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh