অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:০৮ পিএম | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:০৪ পিএম
জুমার নামাজের আগে খুতবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: সংগৃহীত
খুতবা দেওয়া নামাজেরই অংশবিশেষ। জুমার নামাজে ও ঈদের নামাজে খুতবা দেওয়া হয়। খুতবা জুমার নামাজের শর্ত বা ফরজ। জুমার নামাজের আগে খুতবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুতবা ব্যতীত জুমার নামাজ হয় না। উপস্থিত মুসলমানদের জন্য খুতবা শোনা ওয়াজিব।
তাই খুতবা চলাকালে নিরর্থক কাজে ব্যস্ত থাকা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়।
হাদিসের মাধ্যমে সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত, খুতবার সময় নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা ওয়াজিব ও কথাবার্তা বলা হারাম। অনুরূপ খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ পড়াও বৈধ নয়। অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যখন ইমাম খুতবার জন্য বের হবেন, তখন নামাজ পড়বে না, কথাও বলবে না। (মিশকাত, হাদিস: ৩/৪৩২)
জাবের ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি খুতবা দিতেন, উভয় খুতবার মাঝখানে বসতেন। খুতবায় তিনি কোরআন পড়তেন এবং জনগণকে উপদেশ দিতেন। -(মুসলিম, হাদিস: ১৮৮০)
ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) জুমার দিন দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন, অতঃপর বসতেন, পুনরায় দাঁড়াতেন। যেমন—আজকাল তোমরা করে থাকো। (মুসলিম, হাদিস: ১৮৭৯)
সুতরাং জুমার আগে দুই খুতবা দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। তাই এক খুতবা দিয়ে জুমার নামাজ পড়লে জুমার নামাজ শুদ্ধ হয়ে গেলেও তা মাকরুহ হবে। -(আদ্দুররুল মুখতার: ২/১৪৮; হেদায়া: ১/১৪৮; ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া: ৩/৩৮৫)
জুমার নামাজে দুটি খুতবা পাঠ করার কয়েকটি কারণ আছে—
১. মহানবী (সা.) জুমার নামাজের জন্য দুটি খুতবা দিতেন। তাই নবীজির সুন্নত আদায়ের জন্য দুটি খুতবা দিতে হয়।
২. দুটি খুতবা দিলে নির্দিষ্ট বিষয়ের আলোচনা পরিপূর্ণ হয়। পাশাপাশি এতে খতিবের আরাম হয় এবং শ্রোতাদের স্বস্তি হয়।
৩. একদল আলেমের মতে, জুমার দুটি খুতবা দুই রাকাত নামাজের স্থলাভিষিক্ত। প্রতিদিন চার রাকাত জোহরের ফরজ নামাজ পড়তে হয়। এর বিপরীতে জুমার দিন দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়তে হয়। আর দুটি খুতবা বাকি দুই রাকাতের কিছুটা হলেও শূন্যতা পূরণ করে।
তাই এই দুই খুতবাকে জুমার নামাজের অংশ বিবেচনা করা হয়। এবং কেউ বিশেষ কারণে জুমার জামাতে শরিক হতে না পারলে তাকে জোহরের চার রাকাত ফরজ পড়তে হয়। এই দিক থেকে জুমা ও জোহরের মধ্যে সাদৃশ্য আছে।