বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:১৩ পিএম
মো. সাকিব হোসেন ও মো. নাহিদ হোসেন। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি
প্রতারণার মাধ্যমে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে চাঁদাবাজির ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল নগরীর রূপাতলীস্থ র্যাব-৮ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট মো. শহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, পটুয়াখালীর বাউফল থানাধীন মাছপাড়া এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম (৬৩) গত ১৪ ডিসেম্বর মো. সাকিব হোসেন ওরফে শুভ (২২), মো. নাহিদ হোসেন (২০) ও মিলা আক্তারের (২৩) বিরুদ্ধে পটুয়াখালী ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানিতে একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় তার নিকট বিভিন্ন অযুহাতে টাকা দাবি করে আসছিল। অভিযুক্তদের টাকা না দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করেন।
যার ধারাবাহিকতায় গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে বাড়িতে ফেরার পথে অভিযুক্তরা দেশিয় অস্ত্র দেখিয়ে খুন করার ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক একটি বাগানে নিয়ে যান রফিকুল ইসলামকে।
পরবর্তীতে অশ্লীল ভঙ্গিতে মোবাইল ফোনে তার ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে। পাশাপাশি ১০০ টাকার তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্রাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রফিকুলের নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং তা ১০ অক্টোবরের মধ্যে দিতে বলেন। টাকা না দিলে তার ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিবে বলে ভয়ভীতি দেখান।
পরবর্তীতে রফিকুল টাকা দিতে অস্বীকার করায় অভিযুক্তরা তার ছেলে মো. রাব্বিকে (২৫) হত্যা করার হুমকি দেয় এবং পূর্বে ধারণ করা অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি ধামকিও দেয়।
এর প্রেক্ষিতে ১০ অক্টোবর বাউফলের একটি ব্যাংকে বসে অভিযুক্ত শুভকে ৫ লাখ টাকা এবং অভিযুক্ত নাহিদকে ৩ লাখ টাকা দেন তিনি। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের ভয়ে রফিকুল বসতবাড়ি ছেড়ে মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপনে থাকেন।
পরবর্তীতে মো. রফিকুল ইসলাম র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করলে উক্ত বিষয়টি নিয়ে র্যাব তদন্ত শুরু করে এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়।
যার ধারাবাহিকতায় প্রথমে নাহিদ ও মিলাকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সাকিবকে আটক করা হয়।