ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০২:০৪ পিএম
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই মনের ভেতরের ছবিগুলো কাঠের মাধ্যমে গড়ে চলেছেন কাজী মনিরুল ইসলাম ঝিনু। আপন মনে এ শিল্পকর্মটি করছেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার সলেমানপুর গ্রামের খোন্দকার পাড়ার নিজ বাড়িতেই। গড়েছেন মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম। এরমধ্যে কয়েকটি শেষ হলেও চলমান রয়েছে বেশ কয়েকটি শিল্পকর্ম। মুক্তিযোদ্ধার উপর গড়া কাঠের শিল্পকর্মটি সুযোগ হলে মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরে দেবার ইচ্ছা আছে বলে জানিয়েছেন শিল্পী।
জানা যায়, গরুর ফার্ম, তেলের ব্যবসাসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন কাজী মনিরুল ইসলাম ঝিনু। করোনা মহামারিতে ব্যবসা ভাল হচ্ছিল না। প্রায় লোকসান হচ্ছিল। এ কারণে অবসরে যাবার পরের কাজটি শুরু করেছেন তিনি। কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও, মনের ভিতরের ছবিগুলো কাঠের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে শুরু করেছেন তিনি।
ইতোমধ্যে তিনি কয়েকটি শিল্পকর্ম শেষ করেছেন। যা মানুষের মনে অনেকটা জায়গা করে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, মাঠ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন গাছি, ঈগল পাখি, বগ পাখি।
তিনি বলেন, সব কিছু একটা ছক ছিল আমার। জীবনের একটা সময় আমি অবসরে যাব। ওই সময় এ কাজগুলো করব। তবে করোনার কারণে একটু এলোমেলো হয়ে গেছে। অবসরের আগেই জীবনে অবসর চলে এসেছে।
তিনি আরো জানান, আমি শারিরীক ভাবে একটু অসুস্থ্য। এ কারণে করোনার ভেতর বাইরে যায়নি। এ শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার উপর গড়া শিল্পকর্মটি সুযোগ হলে ঢাকা মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরে দেবার ইচ্ছা রয়েছে আমার।
ঝিনু জানান,অনেক আগে থেকে ফলের বাগানের প্রতি আমার আগ্রহ বেশি। এ কারণে আম আর লিচুর বাগান আছে ৩০ বিঘা। যা থেকে চলে আমার জীবিকা।
শিল্পকর্ম নিয়ে তিনি বলেন, এ কাজগুলো করতে কিছু কাঠ বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হয়েছে। আর কিছু কাঠ আমার বাগান থেকে কাটা হয়েছে। একটা শিল্প কর্ম শেষ করতে প্রায় ৫ হাজার টাকার ব্যয় হয়েছে।