চলছে বড়দিন উদযাপন, করোনামুক্তির প্রার্থনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:২৯ পিএম

খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর সারা বিশ্বে যীশু খ্রিস্টের জন্মকে স্মরণ করে উদযাপিত হয়।

খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর সারা বিশ্বে যীশু খ্রিস্টের জন্মকে স্মরণ করে উদযাপিত হয়।

সারাবিশ্বের মানুষের মঙ্গল কামনা এবং দেশ ও জাতির শান্তির জন্য প্রার্থনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। একইসঙ্গে মহামারি করোনাভাইরাস থেকে বিশ্বকে মুক্ত করার জন্য গির্জায় গির্জায় প্রার্থনা করা হয়েছে।

আজ রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকা দেশের বিভিন্ন এলাকার গির্জা ও উপাসানালয়ে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করছেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।

দিনটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে।

খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর সারা বিশ্বে যীশু খ্রিস্টের জন্মকে স্মরণ করে উদযাপিত হয়।

এটি এমন একটি সময় যখন পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়রা বাড়িতে সজ্জিত রঙিন আলো ও ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে দিনটি উদযাপন করতে একত্রিত হয়।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বড়দিন উদযাপনের সময় জরুরি ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্যান্য সংস্থার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব ইতোমধ্যেই সারা দেশে মোতায়েন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘বড়দিন খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সবার জন্য অফুরন্ত আনন্দ ও কল্যাণ বয়ে আনুক। সকলের জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক।’

প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং একটি সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ জাতি গঠনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।

এ উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি এক অভ্যর্থনার আয়োজন করেছেন। বাংলাদেশের আর্চবিশপ, রাষ্ট্রদূত, বিদেশি মিশনের প্রতিনিধি, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ধর্মীয় নেতা ও পেশাজীবীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অতিথিদের সঙ্গে এক চা পার্টিতে যোগ দেবেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh