পঞ্চগড়ে নিহত বিএনপি নেতা বাইপাস রোগী ছিলেন: এসপি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:৫৭ পিএম

গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ। ছবি: পঞ্চগড় প্রতিনিধি

গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ। ছবি: পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ হয়। এতে গণমিছিলে আসা আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫১) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হন। পুলিশের লাঠিচার্জে ওই ব্যক্তি মারা গেছে বলে অভিযোগ বিএনপির।

তবে অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার (এসপি) এস. এম সিরাজুল হুদা। তিনি বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের মারপিটে কোন প্রাণহানি হয়নি। আব্দুর রশিদ আরেফিন হৃদ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। 

গতকাল শনিবার রাতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

পুলিশ সুপার বলেন, আব্দুর রশিদ আরেফিন দুপুর আড়াইটার দিকে পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে তাকে ইসিজি করা হয়। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা জেনেছি তিনি হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এছাড়া আমরা তার পরিবারের সাথে কথা বলেও জেনেছি তিনি আগে থেকেই বাইপাসের রোগী ছিলেন, উনার তিনটা বাইপাস করা ছিলো।

তিনি বলেন, আজকে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত গণমিছিলের কর্মসূচি ছিল। আমরা বিএনপির লোকজনকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে অনুরোধ করি। আমরা নিরাপত্তার কারণে ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করি। কিন্তু তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি না করে লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিয়ে মিছিল করে এবং পুলিশের নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে তারা ভাঙচুর করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে কোনও প্রকার উস্কানি ছাড়াই তারা পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, যেহেতু পুলিশের উপর আক্রমণ করা হয়েছে এবং রাস্তায় ভাঙচুরের চেষ্টা হচ্ছিলো, তাই স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ টিয়ারশেল এবং শটগানের গুলি ছুঁড়ে। নিরাপত্তা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এ ঘটনায় যারা মিছিল করেছেন তাদের ২০-২৫ জন এবং পুলিশের ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। আর পুলিশি কাজে বাধা দেয়া এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করায় আমরা লিগ্যাল প্রসেসে মামলা করবো এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। এখন পর্যন্ত কোনও গ্রেপ্তার হয়নি বলেও জানান তিনি।

এর আগে, দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে গণমিছিলের প্রস্তুতি নেয় বিএনপি। বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকে সেখানে। পরে দলটি গণমিছিল বের করলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

জেলা বিএনপির আহবায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলায় শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয় এবং একজন মারা যান। মিছিলে এই আক্রমণ সুপরিকল্পিত, এটি একটি মার্ডার। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এই মার্ডারের বিচার দাবি করেন তিনি। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh