মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশনের সৌন্দর্য বর্ধন কাজ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:৪৪ পিএম

মিরপুরে মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশনের সৌন্দর্য বর্ধন কাজ আজ দুপুর থেকে বন্ধ রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

মিরপুরে মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশনের সৌন্দর্য বর্ধন কাজ আজ দুপুর থেকে বন্ধ রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র ৭২ ঘণ্টার প্রহর গুনছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। তিনদিন পর ঘুরতে যাচ্ছে ঢাকার বহু কাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেলের চাকা। তবে উদ্বোধনের আগে উড়ে এসেছে এক নয়া খবর। মিরপুরের কাজীপাড়া স্টেশনের সৌন্দর্য বর্ধনের শেষ মুহূর্তের কাজ আটকে গেছে। কাজীপাড়া স্টেশনের সংলগ্ন পাশের জমির মালিকের বাধায় স্টেশনের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশনের পূর্ব পাশের উত্তরমুখী সিঁড়ির পুরোটাই ফুটপাতের উপর নির্মাণ করা হয়েছে। এই সিঁড়ির পূর্বপাশে আনুমানিক এক ফুট মতো জায়গা আছে। সেই এক ফুট জায়গার উপর ঢালাই দিয়ে টাইলস বসানোর কাজ করতে আজ রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) গিয়েছিলেন মেট্রোরেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ইটাল-থাই কোম্পানির কর্মী ইমরুল হাসান। কিন্তু সেখানে এসে বাধা দেন জমির মালিক মো. নজরুল ইসলাম।

ইমরুল বলেন, দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে কাজ শুরু করতে গেলে পাশের জমির মালিক নজরুল ইসলাম কাজে বাধা দেন।

এরপর ইমরুল তার সহকারীদের নিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে এই খবর পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কোনো নির্দেশনা বিকাল পর্যন্ত আসেনি।

নজরুল ইসলাম বলেন, এই স্টেশনের জন্য তাকে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। স্টেশনের সিঁড়িতে ইতিমধ্যে আমার প্রায় ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ৫ ইঞ্চি জমি ঢুকে গেছে। এর পাশে আমার মালিকানাধীন আরো এক ফুট মতো জায়গা রয়েছে। ওই এক ফুটের উপরও ঢালাই দিতে এসেছে। অথচ কোম্পানি কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের কিছুই বলছে না।

তিনি আরো বলেন, তিন মাস আগে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) তাকে একটি চিঠি দিয়েছিল। সেই চিঠিতে বলা হয়েছিল, সরকারি প্রয়োজনে তাকে ১০ ফুট জমি ছাড়তে হবে। সেজন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু এখন মেট্রোরেল উদ্বোধনই করে ফেলছে, কিন্তু আমাদের ক্ষতিপূরণ দেয়নি। এমনকি এরপর কেউ যোগাযোগও করেনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই সিঁড়ির গোড়ায় নজরুলের সুপার বোর্ডের দোকান। গত প্রায় পাঁচ বছর মেট্রোরেল ও স্টেশন নির্মাণের কারণে তিনি ব্যবসাও করতে পারেননি বলে জানান ওই দোকানের সুপারভাইজার ফজলে রাব্বি।

তিনি বলেন, যে এক ফুটের উপর ঢালাই করতে আসছে, ওই জায়গা দিয়ে কোনোভাবে লোকজনও চলাফেরা করতে পারবে না। সুতরাং ওই জায়গায় ঢালাই দিয়েও কোনো লাভ হবে না।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ডিএমটিসিএলের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউ কিছু বলতে চাননি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh