বাগেরহাটে দুগ্রুপের সংঘর্ষে আ.লীগ নেতাসহ আহত ৭

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:০৫ পিএম

দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা। ছবি: বাগেরহাট প্রতিনিধি

দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা। ছবি: বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. ছালাম হাওলাদারসহ সাতজন আহত হয়েছেন। 

আজ রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বাদোখালী এলাকার আ. আজিজ হাওলাদার ও আ. ছালাম হাওলাদারের পরিবারের মাঝে এই ঘটনা ঘটে। 

আহতদের মধ্যে ছয়জনকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে এবং অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় জামাল হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

আহতরা হলেন- বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. ছালাম হাওলাদার (৫৪), তার ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবু (২৯), মামুন হাওলাদার (২৪) ও ছালাম হাওলাদারের ভাই জামাল হাওলাদার (৪৫)।

আ. আজিজ হাওলাদারের পক্ষের আহতরা হলেন- আ. আজিজ হাওলাদার (৪৫), তার ভাই মাজীদ হাওলাদার (৪২) এবং আসাদ হাওলাদার (৩৫)। জামাল হাওলাদার ছাড়া অন্য আহতরা বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে এ ঘটনায় আ. ছালাম হাওলাদারের মামলায় আ. আজিজ হাওলাদারের ভাই শহিদ হাওলাদারকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. ছালাম হাওলাদার বলেন, সকালে সুপারি ক্রয়ের জন্য ৪ লাখ টাকা নিয়ে বাগেরহাটে যাচ্ছিলাম। বাড়ির পশ্চিম পাশের ইটের রাস্তায় পৌঁছালে আ. আজিজ হাওলাদার ও তার লোকজন আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। কারণ জানতে চাইলে তারা আমার উপর হামলা করে। মাজিদ হাওলাদার আমাকে রামদা দিয়ে কোপ দেয়। এক পর্যায়ে চিৎকারে আমার দুই ছেলে ও ভাই এগিয়ে আসলে ওরা তাদেরকেও মারধর করে। আমার ব্যাগ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে যায়। দেড় লাখ টাকা ব্যাগের মধ্যে পাই। আমি আমার টাকা ও আমাদের সবাইকে মারধরের বিচার চাই।

আহত মামুন হাওলাদার বলেন, আমার বাবা ও আমাদের পরিবার খুবই নিরীহ। আমরা ব্যবসা বাণিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করি। বাবার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই ওরা হামলা করেছে। টাকাও নিয়েছে, আমাদের মারধর করেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এদিকে আ. ছালাম হাওলাদারের অভিযোগ অস্বীকার করে আ. আজিজ হাওলাদার বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়েছে। আমরা তিন ভাই আহত হয়েছি। আমরাও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমরা কারও কোন টাকা নেইনি। শুধু শুধু টাকার অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনায় আ. ছালাম হাওলাদার একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত শহিদ হাওলাদার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh