রসিক নির্বাচন: যে কারণে উপস্থিতি কম ভোটারদের

রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:২২ এএম

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি বেশ কম। ছবি: সংগৃহীত

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি বেশ কম। ছবি: সংগৃহীত

চলছে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আজ মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। কয়েকটি কেন্দ্র ছাড়া সবগুলো কেন্দ্রেই যথাযথ সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে কনকনে শীতের কারণে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি তেমন নেই। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিত বাড়বে বলে আশা করছেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে ইভিএম জটিলতার কারণে প্রথম দফায় ভোট দিতে পারেননি জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কার মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। পরে দ্বিতীয় দফায় সকাল ৯টার দিকে ২১ নং ওয়ার্ডের কলেজ রোড আলমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া সকাল নয়টার দিকে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের লাককুটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সকাল ১০টার দিকে নিজের ভোট দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল।

ইসির যুগ্ম-সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ভোট ঘিরে কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে ১৫ জনের এবং ৮৬টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। এছাড়া নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়োগ করা হয়েছে ৩৩ জন নির্বাহী হাকিম। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ১৬ জন বিচারিক হাকিম নিয়োগ করা হয়েছে।

এদিকে র‌্যাব-বিজিবির একাধিক টিম মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় নিয়োজিত রয়েছে। তারা ভোটের আগে ও পরে মোট পাঁচদিনের জন্য নিয়োজিত থাকবেন।

রসিক নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণে কোনো অনিয়ম দেখতে পেলেই গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের মতো ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

রসিক নির্বাচনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ২৬০ জন। এক্ষেত্রে মেয়র পদে নয়জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদে নয় প্রার্থী হলেন- জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।ভোটারদের ধারণা মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মোস্তফা ও ডালিয়ার মধ্যে।

রসিকের ৩৩টি ওয়ার্ডের দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ২২৯টি কেন্দ্রে এবারের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। 

২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত কর্পোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সে অনুযায়ী এ সিটির বর্তমান নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh