পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে বাঁধলেন নির্বাচন কর্মকর্তা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:৩৬ পিএম | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:৩৯ পিএম

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে বাঁধার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে বাঁধার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে বাঁধার অভিযোগ উঠেছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চড় উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চড় উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে  চার, পাঁচ ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থীর (তালগাছ প্রতীক) পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন সেলিম। এক নারী ভোটারকে ইভিএম এ ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন সেলিমকে স্কুলের পিলারের সাথে বেঁধে রাখেন।

ভুক্তভোগী মো. সেলিম বলেন, নারীরা কখনো ইভিএম এ ভোট দেয়নি। আমি তাদের দেখিয়ে দিয়েছি। আমাকে এভাবে বেঁধে রাখার চেয়ে মেরে ফেললে ভালো হতো। 

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলকার নাঈম বলেন, সাময়িক সময়ের জন্য সম্ভবত এই ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে তিনি আর কিছু জানেন না।

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বাঁধন খুলে দিতে বলেছেন। আমি বাঁধন খুলে দিয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। 

তিনি বলেন, নির্বাচনী নিয়ম আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা ব্যবস্থা নিচে। তারা বলতে পারবে। একটি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার প্রধান। তারা কথা বলবেন।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৫ জন, সাধারণ সদস্যপদে ৯৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ৬০ জনসহ মোট ১৯০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩৮টি কেন্দ্রের ২৫৯টি বুথে ইভিএমে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh